এসডিজি অর্জনে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে চতুর্থ পর্যায়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ১ লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে মুক্ত করে পুনর্বাসন করার কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত ১২ লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে মুক্ত করে পুনর্বাসন করা হবে।
আজ সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শিশুশ্রম নিরসনে ট্রেড ইউনিয়ন ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা” শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক আবু আশরাফী মাহমুদ এই তথ্য জানান।
২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে ট্রেড ইউনিয়ন ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা কি হওয়ার দরকার এই বিষয়ের ওপর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন- বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইটিইউসি- বিসি) এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সাবেক এমপি শাহ মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রমিক নেতা সাকিল আখতার চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন শ্রমিক নেতা মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া, শহীদুল্লাহ বাদল ও জাহাঙ্গীর হোসেন, ওশি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা আলম হোসেইন, বাংলাদেশ লেবার রাইট্স সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও নাসরিন আকতার দীনা।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর পরিণতিতে শিশুশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুশ্রম নিরসণে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ আইএলও কনভেনশনÑ ১৩৮ এখনো অনুসমর্থন করেনি। এর আলোকে আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ২০১২ সালে সরকার কর্তৃক শিশুশ্রম নিরসনে একটি নীতিমালা প্রণীত হলেও নির্ধারিত ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম মুক্ত কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগতি খুবই সামান্য। কর্মক্ষেত্রকে শিশুশ্রম মুক্ত রাখতে মালিক পক্ষের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা কোনোভাবেই এ দায় এড়াতে পারেন না। প্রকৃতপক্ষে সরকার, মালিক, শ্রমিক সকলকেই শিশুশ্রম নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে। চতুর্থ পর্যায়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনা হবে। এক বছর মেয়াদী প্রকল্পে শিশুশ্রমে নিয়োজিত ১ লাখ শিশুকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং কর্মমুখী শিক্ষা দেয়া হবে। বর্তমানে দেশে ১২ লাখ শিশু ৩৮ টি বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাছে নিয়োজিত আছে।