জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে আজ সকালে কমিটির ১৩তম সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য প্রকাশনা ও সাহিত্য উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল মাল আবদুল মুহিত।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যক্রম ও মেয়াদ বৃদ্ধি, কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থসমূহের প্রকাশনা উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এ সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়।
সভার শুরুতেই, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বাস্তবায়ন কমিটির বিভিন্ন প্রকাশনা উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন, কমিটির আর্থিক বিষয় নিষ্পন্ন ও বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ সম্পন্নের জন্য এ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সবাইকে অবহিত করেন। সভায় গত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে ড. রফিকুল ইসলামের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা হয়।
সভায় প্রধান সমন্বয়ক জানান, গত ১২তম সভার পরবর্তী সময়ে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক প্রতিপাদ্যে’ ১৬-১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প¬াজায় দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজনসহ দু’টি স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজন ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে পোস্টার প্রকাশ করা হয় এবং ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিভিশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ‘মুক্ত স্বদেশে জাতির পিতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশে বিদেশে প্রচারিত হয় বলে তিনি উল্লে¬খ করেন। এছাড়া, সভায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বাস্তবায়ন কমিটির দু’বছরের কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশ, অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ এবং বাস্তবায়ন কমিটির কয়েকটি প্রকাশনা উৎসব আয়োজন, বঙ্গবন্ধু স্কলার এবং বঙ্গবন্ধু কুইজের চূড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় কমিটির সদস্যবৃন্দ ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ হাসান রাসেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নূর এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান ইমাম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম মাসুরা হোসেনসহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বিশিষ্ট কবি ও লেখক আনিসুল হক, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, বাস্তবায়ন কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।