×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৯-২১
  • ৬১৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার বাংলাদেশে তার প্রথম সফরশেষে বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহায়তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রাইসার বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নয়ন সাফল্যের গল্প এবং বিশ্ব ব্যাংক বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। 
বিশ্বব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অজর্নে সহায়তা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, প্রতিযোগিতার সক্ষমতা উন্নয়ন, জলবায়ু টেকসইয়ত্ব নিশ্চিত করা এবং বৈদেশিক ও আর্থিক ধাক্কা সামলানোর শক্তি জোরদার করার জন্য সময়োচিত নীতি কর্মপন্থা গ্রহণ।  
সফরকালে বিশ্বব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইসার অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাইসার এ সময়ে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। বৈঠকে তারা বৈশ্বিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং অর্থনৈতিক নীতির তাৎপর্য নিয়ে অলোচনা করেন। রাইসার বলেন, অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে দেশের প্রবৃদ্ধির গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের জন্য এখন প্রয়োজন জাতীয় পরিকল্পনায় স্থিরকৃত সংস্কার অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে কাজ করা।  
বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইসার ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরের প্রতিনিধিগণ, সিভিল সোসাইট এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। 
বিশ্ব ব্যাংকের একটি দল বাংলাদেশের জন্য ব্যাংকের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশীপ ক্ঠাামো (সিএফপি) তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশকে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের সহায়তার নির্দেশনা থাকবে। তিনি সরকারি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডরদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য বাস্তবায়ন কি ভাবে কার্যকর করা যায়, সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। বিশ্বব্যাংক টেকসই এবং আন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর দেশের উন্নয়নে প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বব্যাংকই প্রথম। 
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশটিকে মঞ্জুরি সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ, স্বল্প সুদে ঋণ, নিরপেক্ষ উন্নয়ন এসোসিয়েটসে ৩৭ বিলিয়নেরও বেশি ঋণ সহায়তা দেয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে চলমান ৫৫ টি প্রকল্পে ১৫.৭ বিলিয়ন ঋণ সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংক।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat