×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৯-২২
  • ৬১৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের সকল শাখায় বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য ‘শিল্পকলা পদক’ পেয়েছেন ১৮ জন গুণী ব্যাক্তি ও দু’টি সংগঠন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আজ বিকাল সাড়ে ৪ টায় এক অনুষ্ঠানে এই পদক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
‘শিল্পকলা পদক’ ২০১৯ ও ২০২০ প্রাপ্ত গুণীজনরা হলেন, নাট্যকলায় মাসুদ আলী খান ও মলয় ভৌমিক, কণ্ঠসঙ্গীতে, হাসিনা মমতাজ ও  মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় আবদুল মান্নান ও শহিদ কবীর, চলচ্চিত্রে অনুপম হায়াৎ ও শামীম আখতার, নৃত্যকলায় লুবনা মারিয়াম ও  শিবলী মোহাম্মদ,  লোকসংস্কৃতিতে শম্ভু আচার্য্য ও  শাহ আলম সরকার,  যন্ত্রসঙ্গীতে মো. মনিরুজ্জামান ও মো. সামসুর রহমান,  ফটোগ্রাফিতে এম এ তাহের ও  আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন, আবৃত্তিতে হাসান আরিফ  ও  ডালিয়া আহমেদ। এছাড়া সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ ও ‘দিনাজপুর নাট্য সমিতি’ পুরস্কৃত হয়েছে।
এবাডেমির মহাপরিচালক জানান, করোনা মহামারির কারনে ‘শিল্পকলা পদক’ এর অনুষ্ঠান স্থগিত থাকায় এ বছর ২০১৯ ও ২০২০ দু’বছর এর পদক একসাথে প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে দশজন এবং ২০২০ সালে একটি সংগঠনসহ দশজন করে মোট বিশ জনকে এ পদক প্রদান করা হয়।
আলোচনা ও পদক প্রদান শেষে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই  শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দলের পরিবেশনায় সমবেত শিশু সংগীত ‘আমরা সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’ পরিবেশিত হয়। সংগীতটির সুর, ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন লিয়াকত আলী লাকী, কথা-মাসুম সালাউদ্দিন, সংগীতায়োজনে ছিলেন ইবনে রাজন এবং নৃত্য পরিচালনা করেছেন ইয়াসমিন আলী।
একাডেমির শিশু নৃত্যদল পরিবেশন করেন সমবেত শিশু নৃত্য ‘শুকনো পাতার নুপূর পায়ে’। জয়দ্বীপ পালিত এর পরিচালনায় ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ এবং ‘মানুষ হ মানুষ হ আবার তোরা মানুষ হ’ নৃত্য দুটি পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। কণ্ঠ দিয়েছেন একাডেমির সংগীত শিল্পীবৃন্দ, সংগীতায়োজনে ছিলেন শেখ জসীম এবং সমবেত শিশু নৃত্যসহ তিনটি নৃত্যের ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন লিয়াকত আলী লাকী। প্রিয়াংকা গোপ ও কিশোর দাস গেয়ে শোনান ‘জীবন সে তো পদ্মপাতায়’ এবং ‘দিন যায় কথা থাকে’ শিরোনামে দুটি একক সংগীত।
ফিফা চাকমা পরিচালিত ‘বাংলার বর্ণিল সংস্কৃতি’ (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তংচঙ্গা, বম, মনিপুরী, গারো, হাজং, সাওতাল ও ওরা) শিরোনামে পরিবেশিত হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নৃত্য। সবশেষে পরিবেশিত হয় নৃত্যালেখ্য ‘ষড়ঋতু’। ফারহানা চৌধুরী বেবী পরিচালিত নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস এবং ভাবনা ও পরিকল্পনা করেন লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দিলরুবা সাথী ও ইমতিয়াজ আহমেদ।
একাডেমি সূত্র জানায়, দেশের শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতিবছর পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকেন। পদক প্রদানের জন্য তালিকাভূক্ত ক্ষেত্র ১২ টি, কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি,যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন/সংগঠক এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক। তালিকাভূক্ত ক্ষেত্র হতে নির্বাচিত ১০ টি ক্ষেত্রে প্রতিবছর ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়। মনোনীত ব্যক্তি/ব্যক্তির প্রত্যেককে ০১ (এক) টি করে স্বর্ণপদক,সনদপত্র এবং নগদ ১ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat