×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৯-২৪
  • ৬১৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ-হাবিবুর রহমান,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুকুডাঙ্গায় রাস্তার দুইপাশে সারি সারি তালগাছ। তিন কিলোমিটার জুড়ে এ সৌন্দর্য উপভোগে আয়োজন করা হয়েছে তাল পিঠার মেলা। তিন দিনব্যপী আয়োজিত এ মেলায় হাজারও মানুষের সমাগম ঘটেছে।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা তালসড়কে প্রতিবছরই মেলার আয়োজন করা হয়।
যেখানে এ অঞ্চলের বহু মানুষের সমাগম ঘটে। আগতরা সড়কটির সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি স্বাদ নিতে পারেন বাহারি তাল পিঠারও।
এ বছর তালের পাটিসাপটা, তালে জিলাপি, তালের বড়া, তালের ঘীর, তালের কফি, তালের আমতা, তালের নাড়ুসহ অন্তত ২০ ধরনের পিঠা মিলছে মেলায়। এখানে হরেক রকমের তাল পিঠার পসরা সজিয়ে বসেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দোকানিরা।
নওগাঁ সাপাহার উপজেলা থেকে আসা মীনা পিঠা ঘরের মালিক মীনা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্নরকম তালের পিঠা দিয়ে দোকান সাজানো হয়েছে। এবারে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী তালের সব ধরনের পিঠাই থাকছে আয়োজনে। প্রতিবছরের তুলনায় এ বছর বেচাকেনা অনেকটাই বেশি হচ্ছে। মেলাকে ঘিরে নওগাঁ ছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলা থেকে দোকানিরা এসেছেন।
তিন দিনের এ তাল পিঠার মেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। জেলার বাইরে ও বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসেন এখানে।
মেলায় ঘুরে আসা জয়পুরহাটের সুমাইয়া আক্তার বলেন, ঘুঘুডাঙ্গা তাল সড়কের ছবি ফেসবুকে অনেক দেখেছি। এবার সরাসরি দেখার জন্য পরিবারের সঙ্গে চলে এসেছি। তাল গাছের এমন লম্বা সারির মনোরম দৃশ্য সত্যি আমাদের মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি মেলাতে বিভিন্ন প্রজাতির তালের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারলাম। তালের যে এত রকম পিঠা হয় এর আগে জানা ছিল না। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।
১৯৮৬ সালের দিকে এ তালগাছগুলো রোপণ করেছিলেন বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তখন তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। উদ্যেশ্য ছিলো বজ্রপাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি যোগ হবে বাড়তি সৌন্দর্য। এ পিঠা মেলার আয়োজনও তিনিই করেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর ভাদ্র-আশ্বিনে বর্নিল এ আয়োজন বসানো হয়। মেলাকে উপলক্ষ করে বাড়িতে বাড়িতে জামাই-মেয়ে আর স্বজনরা বেড়াতে আসেন। মূলত নতুন প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন প্রজাতির গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী তালের পিঠা পরিচিত করে দিতেই এমন আয়োজন। একটা সময় আমি থাকবো না, তবে এমন আয়োজন যুগের পর যুগ থাকবে এমটাই আশা আমার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat