×
ব্রেকিং নিউজ :
বগুড়ায় কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ও কফিন মিছিল খুলনায় ওসমান হাদি’র গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য-বিচক্ষণতার সঙ্গে ঐক্য রক্ষার আহ্বান জামায়াত আমীরের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে : পার্বত্য উপদেষ্টা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি: প্রধান উপদেষ্টা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিজয় বইমেলা একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা শরিফ ওসমান হাদির অকাল প্রয়াণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-০১
  • ৯৯৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাজিলে নির্বাচনে পরাজয়ের পর কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো এখনও একেবারে নীরব হয়ে আছেন।
তিনি বামপন্থী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজয়ও স্বীকার করেননি। রোববার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটাভুটি শেষ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পরও বোলসোনারো এ নীরবতায় বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন তিনি হয়তো ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে লুলা ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর বোলসোনারো পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। ব্রাজিলের আধুনিক ইতিহাসে এতো কম ভোটে কোন প্রার্থীর জয়ী হওয়ার নজির নেই।
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে ৭৭ বছর বয়সী লুলাকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সংকট, আমাজনের বনভূমি ধ্বংস, এবং শক্তিশালী ও ক্ষুব্ধ ডানপন্থীদের মোকাবেলা।
কিন্তু সবার আগে বড়ো প্রশ্ন হিসেবে যেটি দেখা দিয়েছে তা হলো বোলসোনারো তার পরাজয় স্বীকার করে নেবেন কিনা। ফলাফলের পর থেকে তিনি প্রকাশ্যে এমনকি তার প্রিয় সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত কোন কথা বলেন নি।
তবে তার ঘনিষ্ঠ কিছু মিত্র প্রকাশ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের নি¤œকক্ষের ক্ষমতাশালী স্পীকার আর্থার লীরা।
এদিকে ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা লুলা তার বিজয়ী ভাষণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ইমেজ পুনরুদ্ধারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইতোমধ্যে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, জার্মানীর ওলাফ শলৎজ, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সাথে কথা বলতে শুরু করেছেন।
রোববার রাতে লুলা তার ভাষণে পরাজয় স্বীকার না করার কারনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর যে কোন দেশে হলে পরাজিত প্রেসিডেন্ট তার পরাজয় স্বীকার করে বিজয়ীকে ফোন করতেন।
দুনীর্তির কারনে লুলার ১৮ মাস কারাদন্ড হয়েছিল। জয়ের পর তিনি বিভক্ত দেশকে শান্তি ও ঐক্যের পথে নেয়ার অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজটি বলা যতো সহজ করা ততো কঠিন।
সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিয়েন্দ্রো কনসেনটিনো বলেন, লুলা খুব কম ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাই অসন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, দেশকে শান্ত করতে তাকে রাজনৈতিকভাবে অনেক দক্ষতা দেখাতে হবে।
উল্লেখ্য, সাড়ে ২১ কোটি জনসংখ্যার দেশটি স্পষ্টতই এখন দ্বিধাবিভক্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat