×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-১৪
  • ৪৯৯১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেছেন, জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান খুব নগন্য। টাকার অংকে বীমার আকার বাড়লেও জিডিপির তুলনায় প্রতিবছর কমছে। এর অন্যতম কারণ আর্থিক শৃংখলা বা স্বচ্ছতার অভাব। এ কারণে ক্রমাগতভাবে বীমার প্রতি মানুষের আস্থা কমছে। আস্থা বাড়াতে না পারলে এ খাতকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। রোববার জীবন বীমা কর্পোরেশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান জানান, ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী ৬৬ শতাংশ বীমা দাবি পরিশোধ হচ্ছে। বাকি ২৪ শতাংশ দাবি পাচ্ছে না। জীবন বীমা কর্পোরেশন অবশ্য ৮৭ শতাংশ বীমা দাবি পরিশোধ করছে। তবে দাবি পরিশোধ না করা ১৩ শতাংশ প্রত্যাশিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দাবি পরিশোধ পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারলে এ খাতের ভাবমূর্তি বাড়বে। স্বচ্ছতা বাড়াতে আইডিআরএ অটোমেশনে জোর দিয়েছে। জয়নুল বারী বলেন, নতুন নতুন পণ্য চালু এবং দাবি পরিশোধের মাধ্যমে এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। একইসাথে নতুন পণ্যকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাজারজাতকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি ও দক্ষতার মাধ্যমে জীবন বিমা কর্পোরেশনকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এখন আমরা ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি। যখন ৬০ বছর বা শতবাশর্ষিকী পালন হবে তখন যেন আরও সুনামের সাথে এগিয়ে যেতে পারি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের দাবি পরিশোধ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এখনও নানা কারণে দাবি পরিশোধে দেরি হয়। অনেক সময় আঞ্চলিক অফিসে আবেদন পড়ে থাকে। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত দাবি নিস্পত্তির করা হচ্ছে। তবে তাদের অফিসে স্ক্যানারের স্বল্পতা আছে। যে কারণে অনেক সময় মৃত্যু দাবি পরিশোধে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, জীবন বীমা কর্পোরেশনকে আরও পরিচিত করতে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশ, চৌকিদার, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাঝে এক হাজার ছাতা বিতরণ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচিতি বাড়ানো তাদের লক্ষ্য।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বীমা খাতের বৈশ্বিক আকারের তুলনায় আমরা ১৪ গুণ পিছিয়ে আছি। অর্থনীতির জন্য এটা সুখকর নয়। বীমা খাতের উন্নয়নে সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটি ভালোভাবে সম্পন্ন করা গেলে এ খাত অনেক এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভীন সিদ্দিকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat