×
ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-২৭
  • ৬০৭৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৪ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আহরণ করেছে- যা এর আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশের বেশি।
২০২১-২২ অর্থবছরে ভ্যাট আহরণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। সেই হিসেবে সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে ১৭ হাজার ৪ কোটি টাকার ভ্যাট বেশি আদায় হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এনবিআরের ভ্যাট উইংয়ে মাঠ পর্যায়ে ১২টি ভ্যাট কমিশনারেট রয়েছে।এর মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট ভ্যাট আদায়ে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই কশিনারেটগুলো রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩৮.৭১ শতাংশ, ২৪.৭১ শতাংশ এবং ১৯.৮৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
এনবিআরের তথ্যমতে, সর্বোচ্চ ভ্যাট আদায় করেছে এলটিইউ ভ্যাট কমিশনারেট। এই কমিশনারেট মোট ৫৮ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় করেছে। যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধি ১১.৭০ শতাংশ।   
এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা  বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভ্যাট আয় অর্জিত হয়নি। নতুবা আরও বেশি হারে ভ্যাট অর্জিত হতো। তবে এর মধ্যেও বিদায়ী অর্থবছরে যে হারে ভ্যাট এসেছে সেটাকে বড় অর্জন বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, মূলত তিনটি কারণে ভ্যাট আয়ে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেগুলো হলো- মাঠ পর্যায়ে ভ্যাট আহরণে কঠোর মনিটরিং, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপকরণ বা উৎপাদন সহগ হালনাগাদকরণে জোরদার এবং ভ্যাট ফাঁকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
এনবিআরের তথ্য মতে, গেল অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট এসেছে সিগারেট বা তামাক পণ্য থেকে। এই খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ। মোবাইল ফোন অপারেটার্স থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ।
এর বাইরে যেসব খাতে বেশি প্রবৃদ্ধি এসেছে সেগুলো হলো এমএস রড ৫৮.৪৬ শতাংশ, কোমল পানীয় ৩১.১৯ শতাংশ, সিমেন্ট ৩৩.৭২ শতাংশ, বাণিজ্যিক স্থান ভাড়া ২০.১১ শতাংশ। এছাড়া পেট্রোবাংলার গ্যাস ও বিপিসির পেট্রোলিয়াম পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২১.৬৮ শতাংশ ও ২৩.৪৩ শতাংশ। 
এনবিআর জানায়, মনিটারিং বাড়ানোর ফলে মিষ্টির দোকান থেকে ভ্যাট আদায় ৩৮ শতাংশ, আবাসিক হোটেলে ৩৯ শতাংশ এবং রেস্টুরেন্ট থেকে  ১৬.৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা গেছে।। 
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভ্যাট আহরণের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat