×
ব্রেকিং নিউজ :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা ময়মনসিংহে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কীমের গুরুত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা কুড়িগ্রামে শিশু একাডেমি আয়োজিত স্কুলভিত্তিক নৃত্য প্রতিযোগিতা টাইগারদের দৃষ্টি জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ বিএনপি ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল : ওবায়দুল কাদের দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশিদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা দেবে ভারতের মণিপাল হসপিটাল কৃষিতে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩, প্রধান অভিযুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার নয়াপল্টনে শপিংব্যাগে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে কিশোর আহত
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-২২
  • ৭৭১৪৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা।’
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল উজরা জেয়া জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এখানে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে তারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেয়া রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করার আগে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত, অন্যথায় এই অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে। কারণ রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান এবং মাদক ব্যবসা।
রোহিঙ্গারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কারণ, তাদের প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং তারা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে এবং তারা সেখানে কোন ভবিষ্যত অনুভব করছে না।
শেখ হাসিনা গাম্বিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক সমর্থনও চেয়েছেন।
সাতটি দেশ ফ্রান্স, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও মালদ্বীপ মামলার প্রতি সম্মতি দিয়েছে।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন।
উজরা জেয়া বলেন, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন চান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
মোমেন বলেন, ‘সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষকরে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রযোজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। ভোট কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় এলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে।
আগামী সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচনে আমরা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই।’
ভারত, যুক্তরাষ্ট্র্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশিরভাগ দেশই নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা কিছু ভালোভাবে বর্ণনা করলে ভালো হবে, অন্যথায় ভুল হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে দেশ চালাতে চাই না।’
গণহত্যা প্রতিরোধে জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যালিস ওয়াইরিমু এনদেরিতুও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat