×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-২৫
  • ৯৮৪০৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পিতাহারা সংসারে দারিদ্র্যতাকে কাছ থেকে দেখে বড় হয়েছে মেধাবী আনিকা। সে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। কৃতি শিক্ষার্থী আনিকার পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য পাশে দাঁড়ালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম এই কৃতি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের হাতে গতকাল ২০ হাজার টাকা তুলে দেন।  
আনিকা জেলার নবীনগর উপজেলার ভোলাচংয়ের কাজীমাবাদ শালকান্দি গ্রামের প্রয়াত মো. ফারুকুল ইসলামের একমাত্র কন্যা সন্তান। বাবাকে হারানোর পর মায়ের ত্যাগ আর লড়াইয়ের জীবনের সংগ্রামে একটু-একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে আনিকা। শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির মধ্যে ১ শতক জায়গায় জরাজীর্ণ ও ভাঙাচোরা একটি টিনের ঘরে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে মা আয়েশা খাতুন। 
আনিকা আক্তার যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তো তখন না ফেরার দেশে চলে যান তার বাবা মো. ফারুকুল ইসলাম। এরপর সংসারে আনিকাকে নিয়ে একাই পাঁচটি বছর পাড়ি দেন মা আয়েশা খাতুন। বই কেনা, বিদ্যালয়ের বেতন, পরীক্ষার ফি ও ফরম পূরণের টাকা দেওয়ার মতো টাকা ছিল না। কষ্টের সংসারে দারিদ্র্যতা কাছ থেকে দেখে বড় হয়েছে আনিকা। তবে কোনো কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সংগ্রামী আনিকার অদম্য লড়াইয়ের সামনে। ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে আনিকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এই কৃতি শিক্ষার্থী। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে এইচএসসি পর্যায়ের পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে। 
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কৃতি শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু এই শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, তাই সেখানে পড়াশোনার খরচ তেমন হবে না। নিয়মিত ক্লাশে উপস্থিত থাকলে এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করলে এই শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করতে পারবে। তিনি এই শিক্ষার্থী ও তার মাকে সহায়তা ববাদ দেয়া টাকা পড়াশোনার জন্য খরচের পরামর্শ দেন। 
জীবন সংগ্রামী মেয়ে আনিকা বলেন, সহায়তা পেয়েছি। জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। সামনে পথটা আরো সংগ্রামের। এই সংগ্রামে যে করেই হোক জয়ী হতেই হবে। আনিকার মা আয়েশা খাতুন বলেন,  মেয়ের বাবা বেঁচে নেই। আমার আয়ের কোনো উৎস নেই। সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat