×
ব্রেকিং নিউজ :
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২ জুন ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে লজিস্টিক্স নীতি জাতীয় দলিল হয়ে থাকবে : শিল্পমন্ত্রী উচ্চশিক্ষা খাত এগিয়ে নিতে ডিজিটাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ : ইউজিসি চেয়ারম্যান উদ্বৃত্ত উৎপাদন সত্ত্বেও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় : কৃষিমন্ত্রী ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: ওবায়দুল কাদের জাতির পিতার সমাধিতে আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতির শ্রদ্ধা
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২১
  • ৭৯৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- কমনওয়েলথ সচিবালয় পরিচালনা পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের গ্রুপে এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘সঠিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মতামতও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই গ্রুপে কমনওয়েলথের বিভিন্ন অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এই রাষ্ট্রসংঘকে আরও প্রতিনিধিত্বশীল করতে হবে।’ শেখ হাসিনা শুক্রবার উইন্ডসর ক্যাসেলে সিএইচওজিএম রিট্রিটে কমনওয়েলথ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন পারস্পরিক আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। দিনব্যাপী রিট্রিটে উচ্চপর্যায়ের গ্রুপের সম্প্রসারণ, অর্থায়ন ও কমনওয়েলথ সচিবালয় গভর্নেন্স এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে রিট্রিট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহের সরকারপ্রধানরা এতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কমনওয়েলথের কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সচিবালয়ের জ্ঞান ও বিশেষজ্ঞ দক্ষতাকে আমরা মূল্য দেই। বোর্ড অব গভর্নরের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার জন্য একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিত। যখন সিএফটিসি সংকুচিত হয়ে আসছে এবং অন্যান্য অর্থায়নের উৎস নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, এমন সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন অর্থায়ন প্রক্রিয়া ও বিকল্পের দিকে মনোনিবেশ করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে জাতীয় সম্পদের অপচয় না করে তা জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যবহার করার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় একটির শান্তির স্থান সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই, যেখানে আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিতে পাশাপাশি বসবাস করতে পারবো এবং আমাদের জনগণের স্বার্থে গঠনমূলক-কৌশল প্রণয়নে কাজ করতে পারবো। বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’ কমনওয়েলথ সাইবার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘোষণায় রূপরেখা হিসেবে সাইবার পরিচালনায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই নীতি-আদর্শ ও দিকনির্দেশনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বাংলাদেশ আইসিটি খাতের উন্নয়নকে জাতীয় অগ্রাধিকারের একটি বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল বিভাজন হ্রাস, দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন অর্জন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিনিময় এবং এ সংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধিকে মৌলিক বিষয় বলে মনে করি।’ কমনওয়েলথের বর্তমান গঠন কাঠামো অনেক পুরনো ও বিন্যাস অপর্যাপ্ত এবং প্রত্যাশা আংশিক পূরণ করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথের সংস্কারের গুরুত্বের বিষয়ও তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat