×
ব্রেকিং নিউজ :
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার কৃষকবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে :রেলপথ মন্ত্রী আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০৮
  • ৩৪৫৮৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মৃগীরোগ শুরুতে সনাক্ত করা ও সঠিক চিকিৎসা দেয়া হলে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ৫০ মিলিয়ন মানুষ মৃগী রোগে আক্রান্ত। এই রোগ যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। যদি কোন শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় সমাজ তাকে অস্পৃশ্য বিবেচনা করে। এটা ঠিক নয়। এ রোগ চিকিৎসায় ভাল হয়। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মৃগী সচেতনতা মাস উপলক্ষে বৈজ্ঞানিক সেমিনার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিসঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) এর উদ্যোগে সেমিনারে শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজীদা আহমেদ  পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারের শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানানো হয়।
উপাচার্য বলেন, এ রোগের সব ধরনের চিকিৎসা বিএসএমএমইউয়ের শিশু নিউরোলোজি বিভাগ ও ইপনায় হয়ে থাকে।
সেমিনারে বলা হয়, মৃগী রোগ বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সাধারণ স্নায়ুবিক রোগ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের মৃগী রোগ রয়েছে। মৃগীরোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ লোক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে। এটি অনুমান করা হয় যে, মৃগীরোগে আক্রান্ত ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ খিঁচুনি মুক্ত থাকতে পারে যদি সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসা করা হয়। জীবনের প্রথম  ১০ বছরে প্রায়  ১৫০ শিশুর মধ্যে ১ জনের মৃগী রোগ ধরা পড়ে। বাংলাদেশে মৃগী রোগের প্রকোপ প্রতি ১০০০ জনে ৮ দশমিক ৪ জন। শিশুদের মধ্যে মৃগীরোগ বেশি দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের মৃগীরোগ সিনড্রোম পাওয়া যায়। প্রতিটি ধরনের চিকিৎসা এবং আরোগ্য সম্ভাবনা নির্দিষ্ট ধরনের আছে। কিছু মৃগীরোগ ওষুধের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য। কিছু মারাত্মক ধরণের মৃগী রোগ আছে যা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন এবং মস্তিস্কের বিকাশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। খিঁচুনির ওষুধ ছাড়াও কিছু বিকল্প চিকিৎসা চালু রয়েছে। বিকল্পগুলি হল কিটোজেনিক ডায়েট, ইমিউনোথেরাপি, নিউরোস্টিমুলেশন, এপিলেপসি সার্জারি। মৃগী রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। শিশুদের মৃগী রোগ শুরুতেই নির্ণয় করা সম্ভব হলে এবং যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা হলে দীর্ঘমেয়াদী অক্ষমতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat