×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-১৯
  • ৫৭১৭১ বার পঠিত
  • আলমাহমুদ-ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট-সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ইফতারির জন্য হরেক রকম মুখরোচক সুস্বাদু খাবার তৈরি করছে দোকানিরা । মুখরোচক সুস্বাদু খাবারের মধ্যে রয়েছে ঘোল, দৈই, পিয়াজু, বেগুনি, সোলা, বোন্দা, নিমকি, চানাচুর ইত্যাদি ।  ইফতারিতে সলপের বিক্ষ্যাত ঘোল না হলেই রোজাদারদের চলে না । ইফতারির পর ঘোল খেয়ে সারাদিনের ক্লান্তি দুর করেন রোজাদাররা । তাই ঘোলের চাহিদা উল্লাপাড়ায় বেশী । এ রমজান উপলক্ষে প্রতিদিন ৮ শত থেকে ১ হাজার মন ঘোল বিক্রয় হচ্ছে । রমজান ছাড়াও সাড়া বছর ৫০ থেকে ৬০ মন ঘোল বিক্রি হয়ে থাকে ।  এই বিশাল ঘোলের চাহিদা মিটানোর জন্য সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলপ রেল স্টেশন ঘেঁসে রমজান উপলক্ষে গরে উঠেছে প্রায় ১০ ঘোল উৎপাদন কারখানা ৷ এখান থেকেই সারা উপজেলা সহ দেশের অন্যান্য জেলার ঘোলের চাহিদা মিটানো হয় । 
এ খামারিরা প্রতিদিন ভোরে গ্রামের দুগ্ধখামারদের কাছ থেকে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে দুধ ক্রয় করছে । সেই দুধ কারখানায় নিয়ে এসে তা বিরতিহীনভাবে তিন-চার ঘণ্টা জ্বাল দিয়ে একটা পাত্রে রেখে দেওয়া হয় । তারপর সেই দুধ জমে গেলে তাতে চিনি ও অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু ঘোল । প্রতি কেজি এ ঘোল বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কিজি দরে । যা দুধের চেয়ে ঘোলের দাম দ্বিগুণ বেশী । 
দুধের চেয়ে ঘোলের দাম বেশী হলেও ক্রেতার কমতি নেই । সকাল হলেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা এসে লাইন দাড়ান লোভনীয় এ ভোগ্যপণ্যটি ক্রয় করার জন্য । 
ঘোল ক্রেতা আব্দুল আলিম জানান, সারাদিন রোজা থেকে শরীরের ক্লান্তি দুর করার জন্য ইফতারির সাথে ঘোল দরকার । তাই ঘোল কিনতে এসেছি । তবে দুধের চেয়ে ঘোলের দাম দ্বিগুণ । 
কথা হয় ঘোল উৎপাদনকারী আব্দুল মালেকের সাথে । তিনি জানান, সারাদেশে সলপের ঘোলের বেশ সুনাম রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সলপে আসেন ঘোলের স্বাদ নিতে । সারা বছরই এখানে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে । তবে রমজান মাসে সলপের ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায় । রমজানের আগে যেখানে ঘোলের চাহিদা ছিলো ৫০ থেকে ৬০ মন । বর্তমানে এর চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ শত থেকে ১ হাজার মন । তিনি আরো জানান, সলপে ১০ জন ঘোল উৎপাদনকারী রয়েছে । আমরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ঘোল উৎপাদন করতে পারছি না । দুধের সংকট রয়েছে।  দূরদূরান্ত থেকে পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা আসেন ঘোল কিনতে । আমরা সলপের ঘোলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সর্বক্ষণ সচেষ্ট রয়েছি । আশা করছি সলপের ঘোলের সুনাম দেশজুড়ে আরও ছডিয়ে পড়বে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat