×
ব্রেকিং নিউজ :
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন : মেয়র তাপস ভোলায় মহান মে দিবস পালন রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্পের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে ৪০.৭ ডিগ্রিতাপমাত্রা রেকর্ড গাজা যুদ্ধে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু : নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৮ মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার জাতির পিতার সমাধিতে রাজউক চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সিলেটের আদালত পাড়ায় ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের জন্ম : শেখ পরশ
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-২১
  • ২৩৪৪৭৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আবু শাহেদ ইমন ও জুনায়েদ আহমদ হালিম।
শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 
এর সাথে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার জন্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। 
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম তার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করে। এ বিষয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধকল্পে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আজকের সিন্ডিকেট (৯৪তম) বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 
অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে অসহযোগিতা করায় তাকে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনকে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফারজানা মিমের পরীক্ষার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, মিমের বিগত পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে। 
এসময় উপাচার্য আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার জের ধরে বলেন, অবন্তিকার বিষয়ে সিন্ডিকেটের সভায় আলোচনা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবিহিত করা হয়েছে। স্বাধীনভাবে সুষ্ঠু তদন্ত হবে।
যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম বলেন, ‘আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন স্যার আমাকে যৌন হেনস্তার পাশাপাশি মানসিক টর্চার করেছেন। পরীক্ষায় অংশ নিলেও অ্যাটেন্ডেন্স শিটে আমার নাম রাখা হয়নি। বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’ 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat