×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১০-১৯
  • ২৩৪৩২৫৭৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
‘ডিমের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় সমস্যা’ উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাজারে  মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূর করতে উৎপাদকদের সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, উৎপাদকেরা সমবায়ের মাধ্যমে আড়তদারদের সরাসরি ডিম সরবরাহ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উৎপাদক-আড়তদার লাভবান হবেন এবং ভোক্তারা  সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ক্রয় করতে পারবে।

উপদেষ্টা আজ দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাবনা জেলার মৎস্যজীবী ও প্রাণিসম্পদের প্রান্তিক খামারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

ফরিদা আখতার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে অত্যাধিক গরম ও শীতের ফলে ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণেও অনেক খামার নষ্ট হয়ে ডিমের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে। 

অনুষ্ঠানে খামারিদের মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার মূল্যের উর্দ্ধগতির বিষয়টির উল্লেখ করে উপদেষ্টা তাদের কন্ট্রাক্ট খামারি না হয়ে স্বাধীন খামারি হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত ব্যবসা করে যাচ্ছে, তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না। ফিডের ক্ষেত্রে কয়েকটি কোম্পানির হাতে সবাইকে জিম্মি হতে দেওয়া হবে না  এজন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা নারী উদ্যোক্তাদের শুধু পোল্ট্রি নয় দেশী মুরগী পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশী মুরগী ও  ডিমের উৎপাদন বাড়ালে অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। নিজেরা গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাবনা জেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে প্রচুর সম্ভাবনার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্ভাবনার পিছনে যে সমস্যা রয়েছে তা সরকার দূর করতে চায়। যারা ডিম, মাছ, মাংস সরবরাহ করে আমাদের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাবনা জেলাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রক্ষায় ও তাদের সহায়তা করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রকৃত মৎস্যজীবীর নামে অন্য কেউ যেন সুবিধা না পায় তা কঠোরভাবে দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এস. এম মুশাররফ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম প্রমুখ। পাবনার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্যজীবী ও খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat