সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যু সমিতি -১ এর সামনে ১৯ অক্টোবর বিকেল তিন টায় সচেতন ছাত্র সমাজ মানববন্ধন করেন। সচেতন ছাত্র সমাজ বলেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের মামলা, চাকরিচ্যুতি, হয়রানি ও ধড়পাকড়ের মাধ্যমে কর্মস্থল শূন্য করে পরিকল্পিত ভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যায় ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে ও
বোর্ডের দুর্নীতিবাজদের অপসারণের দাবীতে সি,প,বিস এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সচেতন ছাত্র সমাজ আরো বলেন- আরইবির বহু আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি আছে বলে আমরা জানতে পারি ।
এইসব বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ আন্দোলন করে আসছে। গ্রাহকের স্বার্থে প্রতিবাদ ও যৌক্তিক আন্দোলন করায় গত ১৭ অক্টোবর তারিখ হতে অদ্যাবধি ২৪ জনকে চাকরিচ্যুত, ১৮-২০ জন গ্রেপ্তার ও দুইজনকে ¯ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। তাঁদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেওয়া হয়েছে এবং ৬ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ।
বর্তমান অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা গ্রেপ্তার আতংকে আছেন বলে জানা যায়।
বিদ্যুৎ লাইনের মানোন্নয়নের জন্য গ্রাহকের নিকট জবাবদিহিতার প্রয়োজন আছে। তাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নি¤েœাক্ত ৪ টি দাবী তুলে ধরে বলেন -
আরইবি কর্তৃকসৃষ্ট অস্থিতিশীল পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের
চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
গ্রাহকের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে ১টি প্রতিষ্ঠান করা ও স্থায়ী
পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করতে হবে।
ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে সংস্কার হওয়া পর পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরইবির দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে।
পল্লী বিদ্যুতের সংকট নিরসনে উপর্যুক্ত ৪ দফা বাসতবায়নের মাধ্যমে
টেকসই সমাধান হবে বলে আমরা মনে করি। জনস্বার্থে অবিলম্বে পল্লী বিদ্যুতের এই সংকট নিরসনের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করেন।