×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-১৩
  • ২৩৪৩২৪৫১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি দু'টি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
দেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও মতামত তুলা ধরা হয়েছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিসেমিনেটিং ইনফরমেশন অন সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস)’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা নারী মৈত্রী এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। কর্মশালায় বিভিন্ন তথ্য ও মতামত উঠে এসেছে।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতায় নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি বলেন, বাংলাদেশে সব মানুষের জন্ম নিবন্ধন অদ্যাবধি করা সম্ভব হয়নি। তবে ১৬ কোটির বেশি মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য ডেটাবেইসে (তথ্য-উপাত্ত) সংরক্ষিত আছে। প্রতি মুহূর্তে এই সংখ্যা বাড়ছে। ইচ্ছামতো জন্ম নিবন্ধন করা সম্ভব হওয়ায় এবং অনেক ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির একাধিক তারিখে জন্ম নিবন্ধনের ফলে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন জরুরি। জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। তবে অনেকেই এটা অনুসরণ করেন না। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করা না হলে পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জন্ম-মৃত্যুর পরেই যদি সঠিকভাবে নিবন্ধন সম্ভব হয়, তাহলে ১০ বছর পরপর জনশুমারিরও দরকার পড়ে না। নিবন্ধন দেখেই বলে দেওয়া সম্ভব দেশে কত মানুষ আছে। বছরে কতজন জন্মেছে আর কতজনের মৃত্যু হয়েছে।

কর্মশালায় বলা হয়, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দেশে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন ও বিধিতে জন্ম-মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা আছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই এই আইন সম্পর্কে জানেন না। মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের হার এক শতাংশেরও নিচে। আর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের হার ৫৪ শতাংশ। দেশে মৃত্যু নিবন্ধনের হার মাত্র ৪৯ শতাংশ।

কর্মশালায় জানানো হয়, মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। মৃত্যু নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় আইন থাকা সত্ত্বেও, প্রক্রিয়াটিতে এখনো পর্যন্ত অনেক বেশি বিড়ম্বনা ও হয়রানি করা হয়। যার কারণে এটি একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া। সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রভাব, মৃত্যু সম্পর্কিত আচার, দাফন প্রথা, প্রশাসনিক দীর্ঘ আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে।

আলোচকরা জানান, ২০১৮ সালে সরকার বিধি জারি করায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম সহজ হয়েছে। জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে এগুলোর নিবন্ধন সম্পূর্ণ বিনা খরচে করার বিধান জারি হয়েছে। উন্নত দেশে সব জন্ম ও মৃত্যু হাসপাতাল কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তাই উন্নত দেশগুলোর রেজিস্ট্রেশন হাসপাতালে সম্পন্ন করে মানুষকে দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদান করছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের একটি স্তর বৃদ্ধি করে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষমতা অর্পণ করে আইনানুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে পারে বলে মত দেন আলোচকরা।

কর্মশালায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ও বিধিমালা সংশোধনের কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় নয়, জন্ম মৃত্যুর ডিক্লারেশন হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের নিকট পাঠানো, জন্ম-মৃত্যুর তথ্যদাতার সহযোগী বা সহায়তাকারীদের বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা। 

কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন সিআরভিএসের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মঈন উদ্দিন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat