×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-১৭
  • ৩৬৫৪৫৪৮৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার এবি পার্টি'র উদ্যোগে চলমান গণ ইফতার কার্যক্রমের ১৬তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, লুটেরাদের পরিবর্তে জনগণের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ খেটে খাওয়া মানুষের বাংলাদেশ। কিন্তু হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে লুটপাটের উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। দেশ থেকে টাকা পাচার করেছে, কেউ কথা বললে তাকে গুম করা হয়েছে, খুন করা কয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) উদ্যোগে চলমান গণ ইফতার কার্যক্রমের ১৬তম দিনে আজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাকি এসব কথা বলেন।

পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু'র সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণ ইফতারে আরোও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, এবি পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কেফায়েত হোসাইন তানভীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ,পল্টন থানা আহ্বায়ক আবদুল কাদের মুন্সী ও যুব নেতা ইমরান হোসেন শিবলু।

জোনায়েদ সাকি বলেন, এবি পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণ ইফতারের আয়োজন করছে, যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।  তিনি এমন আয়োজনের জন্য এবি পার্টিকে ধন্যবাদ জানিয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন এমনি এমনি এই রাষ্ট্র আমরা পাইনি, যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেয়েছি, যোদ্ধা হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। সম্পদ তৈরি করেন আপনারা, আর ভোগ করেন অল্প সংখ্যক মানুষ। এভাবে চলতে পারে না।

তিনি বলেন, এই দেশ হবে খেটে খাওয়ার মানুষের। হাসিনা কি এমনি এমনি পালিয়েছে? ১৬০০ মানুষের জীবনের বিনিময়ে হাসিনাকে পালাতে হয়েছে। হাসিনা পালানোর মধ্যে দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির সুযোগ হয়েছে, সেটি আমরা হেলাফেলায় বেহাত হতে দেব না। এজন্য পুরাতন রাজনীতি ছুঁড়ে ফেলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। পুরাতন বন্দোবস্ত স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই রাষ্ট্রে শেখ হাসিনার মত শাসক গোষ্ঠী কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শাসন করেছে আমাদেরকে। যার ফলে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনাকে পালাতে হয়েছে। 

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত না হলে বাংলার জনগণ কখনো আপনাদের ক্ষমা করবে না।  শুধু পার্লামেন্টের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দেশ চালালে হবে না, ফুটপাতের মানুষের মতামতও নিতে হবে। দেশটা আমাদের সবার, এজন্য দেশের মঙ্গলের জন্য আমাদের সকলকে ভাল কাজ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat