×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-১৮
  • ২৩৪৫৪৪৬৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোন ষড়যন্ত্র এদেশে বাস্তবায়িত হবে না। জনগণই সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে।

তিনি বলেন, জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি। অথচ গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই অধিকার ফিরিয়ে দেবে। 

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। দোয়া ও স্মরণসভার আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো, আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন। নির্বাচনকে পদ্ধতিকে বিলম্ব করলে দেশ হুমকির মুখে পড়বে। কারণ, যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা তো পালিয়ে গেছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের প্রতিহত করতে হবে। 

বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা বলেন, জুলাই-আগস্টের যে চূড়ান্ত আন্দোলন ছিল গত ১৬ বছরের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে যে আন্দোলন করেছেন তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। ছাত্র জনতার রক্তস্রোত একই সমুদ্রের মোহনায় গিয়ে মিলিত হয়েছে এবং সেই স্রোতেই শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। 

বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাহেব একজন ত্যাগী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। আমরা অনেক ক্লোজলি কাজ করেছি। তিনি চারবারের চীফ হুইপ ছিলেন। ২০০১ সালে আমরা অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলাম, দেলোয়ার হোসেন মন্ত্রী হবেন। কিন্তু তাকে মন্ত্রী করা হয়নি। এতে তিনি সামান্যতম মন খারাপ করেননি। 

তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেনকে মন্ত্রীত্ব না দেয়ার কারণে আমরা যখন তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তখন তিনি উলটো এই বলে আমাদেরকে বুঝিয়েছেন যে, ‘রাজনীতি করি দলের আদর্শের জন্য। রাজনীতি করি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। কোন পদ পদবির জন্য করি না।’ রাজনীতির এই উদারতার শিক্ষা তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাহেব দলের ক্রান্তিকালে অনেক সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের পরে যখন আমাদের দলকে স্তব্ধ করার জন্য ১১ বছরের যে মহাসচিব ছিলেন, তাকে সংস্কারপন্থি বানিয়ে ফেলে। সেই সময় আমরা কারাগারে ছিলাম। এভাবে যদি দল দুই ভাগ হয়, তাহলে কীভাবে রক্ষা হবে। মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সাহেব অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে তখন মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে আকবর হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্য সন্তানরাও উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat