×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৪-২০
  • ২৪৩৪৫৪৭৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে (বিএমইউ) দিনব্যাপী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রায় একশ’ জন চিকিৎসক অংশ নেন।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে (বিএমইউ) দিনব্যাপী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

কর্মশালায় নাক কান গলা বিষয়ে উচ্চতর কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ, অটোলজিতে আগ্রহী চিকিৎসকসহ প্রায় একশ’ জন চিকিৎসক অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএমইউ’র অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, অডিওলজিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্টগণ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর সফলভাবে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। যাদের মধ্যে নয় শতাধিক শিশু রয়েছে।

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা কার্যক্রম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে বিএমইউতে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। বিএমইউতে যে  প্রায় এক হাজার সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ৪১ জন নিজ খরচে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করেছে। অন্য সবাই নামমাত্র মূল্যে বিএমইউ’র উদ্যোগে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করেছে। যে সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করেছে তারা কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পূর্বে কানে শুনতে না পাওয়ায় কথাও বলতে পারতেন না। কিন্তু কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করার পর তারা এখন কানে শুনতে পারছেন; কথা বলতে পারছেন এবং সমাজের বোঝা না হয়ে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পাচ্ছেন।    

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম গবেষণার ওপর বিশেষ করে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট পরবর্তী  চিকিৎসা, পুনর্বাসন, আউটকাম বা চিকিৎসার চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে গবেষণা ও বিশদ পর্যালোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগামের সফলতা কামনা করে উপাচার্য বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে অনেক শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু আজ সমাজের মূল স্রোত ধারায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে; এটা একটা বিরাট অর্জন।   

অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানু লাল সাহা, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হারুন অর রশীদ তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট চিকিৎসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি বিএমইউ প্রশাসনের কাছে সহায়ক জনবল নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat