×
ব্রেকিং নিউজ :
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন : মেয়র তাপস ভোলায় মহান মে দিবস পালন রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্পের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে ৪০.৭ ডিগ্রিতাপমাত্রা রেকর্ড গাজা যুদ্ধে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু : নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৮ মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার জাতির পিতার সমাধিতে রাজউক চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সিলেটের আদালত পাড়ায় ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের জন্ম : শেখ পরশ
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৩-২২
  • ৭২২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
যক্ষ্মা চিকিৎসায় বাংলাদেশের গৃহীত স্বল্পমেয়াদী পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
স্বাস্হ্য ডেস্ক:- যক্ষ্মা চিকিৎসায় বাংলাদেশের গৃহীত স্বল্পমেয়াদী পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতের নয়াদিল্লিতে হোটেল লা মেরিডিয়ানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তৃতায় বাংলাদেশে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরলে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিগণ এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মালটি ড্রাগ্স রেজিস্ট্যান্স যক্ষ্মা রোগীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশই প্রথম এই অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে শতকরা ৮৫ ভাগ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যে রোগের চিকিৎসায় পূর্বে ২৪ মাস সময় প্রয়োজন হতো, সেই রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে এখন নয় মাসেই হচ্ছে।তিনি বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলের মাধ্যমে ১.২ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে। যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকার আগামী বছর থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে বলে এ সময় তিনি জানান।মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের সময়ে যক্ষ্মা নির্ণয় ও প্রতিরোধে আগের তুলনায় অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই রোগের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে খুঁজে বের করার মতো দুরূহ কাজটিতে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।নতুন রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। শৈশব ও কৈশোরকাল থেকেই এই রোগ চিহ্নিত করে চিকিৎসা প্রদানে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়ার উপর তিনি এ সময় গুরুত্বারোপ করেন। যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যাকে শূন্যের কোটায় নামাতে হলে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি এখাতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলের পথে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে থাকলেও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সারাদেশের তৃণমূল জনগণের মাঝে রোগ শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পৌঁছে দিতে আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রীগণসহ জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিভিন্ন দেশ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নিচ্ছেন। যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বিদ্যমান কার্যক্রম মূল্যায়ন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি নির্ধারণের জন্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আয়োজনে এই সম্মেলনে অংশ নিতে মঙ্গলবার ভারত যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামী শুক্রবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat