×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-১৬
  • ৪৪৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
১০৫টি কেন্দ্রের ফল বাতিলের দাবি মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিনিধি:- খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়েছে তার মধ্যে ১০৫টির ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভোট নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। একই সঙ্গে ৪৫টি কেন্দ্রে ‘অনিয়মের’ তদন্ত করে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।
আগের দিনের প্রায় ৬৮ হাজার ভোটে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেকের কাছে হেরে যান মঞ্জু। আর ভোট নিয়ে মূল্যায়ন জানাতে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ভোট শুরুর পর পর মঞ্জু মোট ৩০টি কেন্দ্রে তার এজেন্টদেরকে বের করে দেয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে ঢাকায় তার দলের পক্ষ থেকে মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন ৪০টি কেন্দ্রের কথা। দুপুরে মঞ্জু দাবি করেন, ভোটের নামে প্রসহন হচ্ছে। আর দুপুরের পর রিজভী ঢাকায় ২৬টি কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ আনেন। ভোট শেষে রিজভী দেড় শতাধিক কেন্দ্রে বড় ধরনের কারচুপির অভিযোগ করেন। তবে মঞ্জু সন্ধ্যায় শতাধিক কেন্দ্রে কারচুপির কথা বলেন। পরদিনের সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, ‘১০৫টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৪৫টি কেন্দ্রে ভোটারদেরকে আটকে দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে।’ ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে নৌকা জয়ী হয়েছে। বলেন, ‘খুলনাবাসী ভোট ডাকাতির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরো সংকটে পড়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।’ ‘কেসিসি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেছে, শেখ হাসিনার সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে কোনো অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।’ মঞ্জু বলেন, ‘শহরের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। কেন্দ্রে গেলে বলা হয়েছে, ব্যালট শেষ হয়ে গেছে। কারো কারো আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে বলা হয়েছে, বাড়ি চলে যান আপনার, ভোট হয়ে গেছে। কারো হাত থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরে বাক্সে ফেলা হয়েছে।’ ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে মঞ্জু বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় শক্তিকে নিয়োজিত করে ভোটের ফলাফল পক্ষে নেয়া হয়েছে। বিজিবি ও র‌্যাব ছিল নিস্ক্রিয়। তারা গাড়িতে বসে ঘুমিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা ছিলেন নির্বিকার।’ ‘আর পুলিশ ছিল অত্যন্ত সক্রিয়। বিশেষ একটি ব্যাচের সকল পুলিশকে খুলনায় এনে একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয়। খুলনায় ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও তারা ভোটের দিন সরকারি পোশাক পরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপির পোলিং এজেন্ট, কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দিতে তারা কাজ করেছে।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘আজ্ঞাবহ’ অভিহিত করে মঞ্জু বলেন, নির্বাচনের নানা অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করতে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অসংখ্যবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। ‘কেন্দ্রে না গিয়েই তারা বলে দিলেন, দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন হয়েছে অবাধ, সুষ্টু, নিরপেক্ষ।’ মঞ্জুর অভিযোগ, যে সব ওয়ার্ডে ধানের শীষ জেতার কথা ছিল, সেগুলোই আওয়ামী লীগের লক্ষ্যবস্তু ছিল।এ কারণে সকালেই ১৬, ১৭, ১৯, ২২, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলো তারা দখল করে নেয়। ‘এজেন্টদের পিটিয়ে মেরে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রেই আসতে দেয়া হয়নি। হুমকি ভয় ভীতি প্রদান ছিল অব্যাহত। ’ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী এস এম শফিকুল আলম মনা, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat