×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৬-০৪
  • ৪৪৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদকবিরোধী অভিযানে কমছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’
নিজস্ব প্রতিনিধি:- মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে মে মাসের শেষে টানা ১০ রাত ধরে ৯ টি বা তার চেয়ে বেশি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে দেশে। একেক রাতে প্রাণ গেছে ৯ জন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৬ জনের। তবে গত পাঁচ রাত ধরে কমেছে বন্দুকযুদ্ধ। দুই বা তিনটি মৃত্যুর খবর  এসেছে এই সময়ে। গত ৪ মে থেকে শুরু হওয়া অভিযানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে নিহত হয়েছে ১৪৪ জন। অভিযানের প্রথম ১৫ দিন খুব একটা প্রাণহানির খবর আসেনি। তবে ১৯ মে রাতে ছয় জন আর পরদিন নয় জনের মৃত্যুর খবর এসেছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে। বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে টানা ১১ রাতের এমন বর্ণনাই দিয়েছে র‌্যাব বা পুলিশ। প্রতি রাতে প্রাণ গেছে ১০ জন থেকে শুরু করে ১৬ জন পর্যন্ত। তবে ৩০ মে রাত থেকে বন্দুকযুদ্ধের পরিমাণ কমে এসেছে। বেশিরভাগ ‘বন্দুকযুদ্ধেই’ প্রাণ গেছে একজন করে। আর প্রতিটি ‘যুদ্ধের’ বর্ণনাই প্রায় অভিন্ন। সন্দেহভাজনকে ধরতে গেলে তিনি বা তার সহযোগী বা সন্দেহভাজনকে নিয়ে রাতে বের হলে সহযোগীরা গুলি করেছে, আর পাল্টা গুলিতে প্রাণ গেছে সন্দেজভাজনের। জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘অভিযান সম্পর্কে আপনাদের ভুল ধারণা রয়েছে। অভিযানে শুরুতে যেভাবে অপরাধীরা থাকে, পরে তারা সেইভাবে থাকে?  ধীরে ধীরে তারা আত্মগোপন করতে থাকে। অভিযান শেষ কেউ কি এটা আপনাদের বলেছে?  এখন কি রাস্তায় রাস্তায় কেউ ইয়াবা নিয়ে ঘুরবে আর বলবে আমাকে ধরেন?’ র‌্যাবের হিসাব মতে, গত ৪ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত তাদের অভিযানে তিন হাজার ছয়শ ১৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ৩৪ জন। বন্দুকযুদ্ধ কমে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস  বলেন, ‘মাদক বিরোধী অভিযান এখনও চলছে।’ মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, অভিযানের শুরুতে আমরা তিন থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে কক্সবাজারে একরামুল হকের মৃত্যুর খবর শোনার পরে জনমনে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এখন দুই থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে।’ ‘আমার মনে হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তবে এটা মনে হয় যে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা নাটক । তা না হলে বাড়বে কমবে কেন?’ এখন আলোচনা একরামুলের মৃত্যু নিয়ে গত ২৬ মে রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হকের মৃত্যুর ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছে এই সময়ে। ২৭ মে এই খবরটি আসার পর টেকনাফে প্রতিক্রিয়া হয়েছে বিরূপ। ওই রাতে একরামের জানাযায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ছাড়াও আর্থিক অসঙ্গতির খবর তার ইয়াবা চক্রের হোতার পরিচয়কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। আর এরপর থেকে এই কথিত বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধের বর্ণনা গত ১৪ বছর ধরেই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তবে এবার একটি অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে, যেটি একরামুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার তার স্বামীর হত্যার সময়কার ঘটনা বলে দাবি করেছেন। গত ৩১ মে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আয়েশা অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে স্বামীর সঙ্গে চারবার ফোনে কথা বলার রেকর্ড প্রকাশ করে আয়েশা জানান, একরামুলকে তিনি ফোন করার পর পর তাকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। আর তার প্রকাশ করা রেকর্ডে এটা স্পষ্ট যে, সেখানে বন্দুকযুদ্ধ হয়নি, একতরফাভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে একজনকে। এরই মধ্যে অডিও রেকর্ডটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একরামকে যদি উদ্দেশ্যমূলক হত্যা করা হয়ে থাকে, তাহলে দায়ীদেরকে শাস্তি পেতে হবে। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, সেখানে কেউ পার পায়নি। একরামুলের মৃত্যুর পরদিন ২৭ মে কক্সবাজারের পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী অভিযানের লাগাম টানার আবেদন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেন ফেসবুকে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat