×
ব্রেকিং নিউজ :
উল্লাপাড়ায় কৃষক সমাবেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে টাইগারদের প্রতি রাষ্ট্রপতি’র অভিনন্দন গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া পাঠাগারে স্পিকারের বই উপহার ই-জিপি বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে তানজানিয়ার প্রতিনিধিদল ঢাকায় ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বৈঠক বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই : ওবায়দুল কাদের আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৫-০১
  • ৮৬৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মহান মে দিবস আজ

মহান মে দিবস আজ। শ্রমিকের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অধিকার আদায়ের গৌরবময় দিন। সারাবিশ্বেই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। দিবসটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে শ্রমিকদের রক্তঝরা আত্মত্যাগের ইতিহাস।দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা-অত্যাচার আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা সব কল-কারখানায় শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দেন। আট ঘণ্টা কাজ এবং নায্য মজুরির দাবিতে সেদিন শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। লাল ঝাণ্ডা হাতে সেদিন প্রায় তিন লাখ শ্রমিক শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ করেন। হে মার্কেটের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ সেদিন এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ বিনা উস্কানিতে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে প্রায় ১০ জন শ্রমিক নিহত হন।

হে মার্কেটে ১০ জন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শ্রমিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। শ্রমিকদের সঙ্গে সেই আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র-জনতাও সামিল হয়। বিশ্বজুড়ে তীব্র শ্রমিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কাজের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়।

১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর শ্রমিকদের জীবনদান এবং আন্দোলনের স্বীকৃতি দিতে পহেলা মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর পরের বছর ১৮৯০ সাল থেকে পহেলা মে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংঘঠন মে দিবস পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে এদিন দেশে সরকারি ছুটি থাকে। বন্ধ থাকে কল-কারখানা ও গাড়ির চাকা। এদিন শ্রমিকরা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মে দিবসের র‌্যালিতে অংশ নেন।

মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী এবং বিরোধীদল পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্টনিক মিডিয়াগুলোও মে দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করে থাকে।

বাংলাদেশে এখনও শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। দেশে এখনও মজুরি বৈষমের স্বীকার শ্রমিকরা। তাই মে দিবস শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, শ্রমিকদের যথাযোগ্য প্রাপ্য ও সুযোগ-সুবিধা দিলেই মে দিবসের স্বার্থকতা আসবে বলে শ্রমিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat