×
ব্রেকিং নিউজ :
ঢাকা-ব্যাংকক রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেরেবাংলার অসীম মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে : শেখ হাসিনা ঢাকা ও ব্যাংকক পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর করেছে বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে : ওবায়দুল কাদের দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নাটোরে শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীদের শিক্ষা সফর বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
  • প্রকাশিত : ২০২১-১০-১১
  • ১১৭৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
আজ সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে  পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্ত:শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির আহবায়ক প্রফেসর এ.এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময় ও নম্বর বিভাজন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আগামী ১৪ নভেম্বর এসএসসি তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৩ নভেম্বর। অন্যদিকে, এইচএসসি তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হবে ২ ডিসেম্বর এবং তা  শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়েক দফায় বন্ধ থাকায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সময়সীমা, নম্বর ও প্রশ্ন পদ্ধতি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। রচনামূলক পরীক্ষা এক ঘন্টা ১৫ মিনিটে এবং নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা ১৫ মিনিটে সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে, কারিগরিতে সব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 
এসএসসি ও এইচএসসি এর বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা প্রতিটি বিষয়ে ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে রচনামূলক ২০ নম্বর ও এমসিকিউ বা  নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষার  সময় থাকবে ১২ নম্বর। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪৫ নম্বরের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা দিবে। এর মধ্যে ৩০ নম্বর থাকবে রচনামূলক ও ১৫ নম্বর থাকবে নৈর্ব্যত্তিক । রচনামূলক ও নৈর্ব্যত্তিকের নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরকে নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা বোর্ড থেকে দেয়া নির্দেশনায় এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞানের  রচনামূলক অংশে ৩২ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে রচনামূলক ২০ এবং এমসিকিউ  অংশে ১২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
বিজ্ঞান বিভাগের রচনামূলক অংশে ৮টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্য থেকে যেকোনো দু’টির উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।  নম্বর থাকবে ১০ করে ২০ নম্বর, নৈর্ব্যত্তিক অংশে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে, এরমধ্যে ১২টির উত্তর দিতে হবে। এখানে নম্বর থাকবে ১২। এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোট ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
আবার, বিজ্ঞান বিভাগের  শিক্ষার্থীদের ২০ নম্বরকে ৫০ ও নৈর্ব্যত্তিকের ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানায়, এসএসসির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। রচনামূলকে ৩০ নম্বর ও নৈর্ব্যত্তিক বা এমসিকিউতে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে রচনামূলক অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকবে, উত্তর দিতে হবে যেকোনো ৩টির। প্রতি প্রশ্নে ১০ নম্বর থাকবে । নৈর্ব্যত্তিকে থাকবে ৩০ টি প্রশ্ন, উত্তর দিতে হবে ১৫টির।  প্রতি  প্রশ্নের উত্তরের জন্য মান থাকবে ১ নম্বর করে মোট ১৫।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৩০ নম্বরকে ৭০ ও নৈর্ব্যত্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে।  প্রতিটি বিষয়ের (রচনামূলক ও এমসিকিউ)  পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এরমধ্যে রচনামূলক ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ও এমসিকিউ ১৫ মিনিট।
এসএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার (নোট বুক) নম্বর ২৫। নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ব্যবহারিক খাতার নম্বর প্রদান করে নম্বরগুলো ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার প্রাপ্ত নম্বর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে এবং  হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় (মাধ্যমিক) জমা দিবে।
আবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক)  নম্বর ২৫ (ক্রীড়া {তত্ত্বীয়},লঘু সঙ্গীত,উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া)। প্রতিষ্ঠান নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর প্রদান করে নম্বরসমূহ ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার প্রাপ্ত নম্বর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে এবং হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় (উচ্চ মাধ্যমিক) জমা দিবে।
অন্যদিকে, বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান শাখার  পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকে ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে ও  এমসিকিউ এর ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে ,ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে ও এমসিকিউয়ের ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে ও এমসিকিউয়ের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে। লঘু সঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের রচনামূলকের মোট ২০ নম্বরকে ৪০ নম্বরে রূপান্তর করে ঐ বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat