×
ব্রেকিং নিউজ :
শিশু-কিশোরদের মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারা রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে : প্রধানমন্ত্রী অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে : মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন পাকিস্তানে পদদলিত হয়ে নিহত ১২ জাটকা আহরণ ও মজুদ থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর আহ্বান সংবাদ প্রকাশের নামে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিন্দা দৈনিক প্রথম আলোয় ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ দেশের কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা হাইকোর্টে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে ১৬ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি
  • আপডেট টাইম : 14/03/2023 02:58 PM
  • 63 বার পঠিত

প্রায় সাড়ে চারশত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য বহন করা জেলার আক্কেলপুরের গোপিনাথপুর দোলযাত্রা মেলা দর্শনার্থীদের পদভারে এখন মুখোরিত।
আক্কেলপুর উপজেলার শ্রী শ্রী গোপিনাথ ঠাকুরের স্মরণে গোপিনাথপুর মন্দিরকে ঘিরে প্রতি বছর দোল পূর্ণিমাতে এ মেলা শুরু হয়। এ মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানে ঘোড়া কেনাবেচা হয়ে থাকে। আক্কেলপুর উপজেলা শহর থেকে ৬/৭ কিলোমিটার দূরত্বে গোপিনাথপুর এলাকায় প্রায় ১০০ একর জমির উপর এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত এবং বসে ১৩ দিন ব্যাপী নান্দনিক ওই মেলা। মেলায় আসা সুন্দরী, বিজলী, মহারাজা, বারুদ, রাজ, বাদশা, কদমরানী, কিরণমালা এসব হচ্ছে ঘোড়ার নাম। নামের সার্থকতায় রয়েছে রং, ঢং, চালচলনে ক্ষিপ্রতা। সাদা, লাল, কালোসহ বাহারী রংয়ের এসব ঘোড়া ওঠে ঐতিহাসিক এ মেলায়। প্রায় ৫০ বছর ধরে চলে আসা এ মেলায় ঘোড়া কেনা বেচা করা দেশের মধ্যে একমাত্র মেলা এটি। সে কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঘোড়া ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন ঘোড়া বিক্রি করতে আবার কেউবা কিনতে। এ মেলার প্রধান আকর্ষণ ঘোড়া হলেও এখানে গরু, মহিষ ও কাঠের সামগ্রীও বেচাবিক্রি হয়। বিভিন্ন ডিজাইনের মিষ্টি, বড় বড় মাছ ও শিশুদের খেলনা এ মেলায় ওঠে। এ মেলাকে ঘিরে হিন্দু, মুসলিমসহ সব ধর্মের লোকজনের বাড়িতে চলে জামাই-মেয়ে, আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ ও দাওয়াত দেওয়ার পালা। মেলাকে ঘিরে আশপাশের কয়েক গ্রামে চলে উৎসবের আমেজ, পরিণত হয় পারিবারিক মিলন মেলায়। মেলার একপাশে ফাঁকা জায়গায় চলে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা। এখানে দৌড়ের ক্ষিপ্রতা দেখে চলে ঘোড়ার দরদাম ও বেচাকেনা। মেলায় গোপিনাথ ঠাকুরের পুজা অর্চনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে যেমন সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের আগমন ঘটে। তেমনি অন্যান্য ধর্মের লোকজনের আগমনে কানায় কানায় ভরে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। এ মেলায় ওঠা কাঠের আসবাবপত্র জামাই মেয়েকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঘোড়া নিয়ে আসা আব্দুল বারিক বলেন, মেলায় এবার ছোট-বড় মিলে তিনটি ঘোড়া নিয়ে এসেছি। তাজি ইন্ডিয়ান ঘোড়ার দাম ৬ লাখ টাকা হাকা হলেও ক্রেতারা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম করেছেন বলে জানান তিনি। গোপিনাথপুর মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি হচ্ছেন গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে ৪শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে চলে আসা এ মেলায় হিন্দু, মুসলিমসহ সকল ধর্মের লোকের আগমন ঘটে। এটি একটা অসাম্প্রদায়িক মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে এ এলাকার গ্রামে গ্রামে এখন চলছে উৎসবের আমেজ। জামাই-মেয়েকে দাওয়া দেওয়াসহ এখানের বড় বড় মাছ, মিষ্টান্ন কিনে শ্বশুর বাড়িতে আবার অনেকেই জামাইয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে থাকেন। এ মেলায় ঘোড়ার পাশাপাশি গরু, মহিষ ও কাঠের আসবাবপত্র কেনাবেচা হয়ে থাকে। আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মেলা গোপিনাথপুরে মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...