×
ব্রেকিং নিউজ :
নাইজেরিয়ায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে জিহাদি বিরোধী ১১ মিলিশিয়া যোদ্ধা নিহত বাবর-আফ্রিদির নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ সমতায় শেষ করলো পাকিস্তান মরুভুমিতে আবেদনময়ী অধরা খান উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সম্ভাবনাকেও হাইলাইট করতে হবে : হুইপ কমল মাদারীপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০ রাঙ্গামাটিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন ও অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৩-২৪
  • ২৩৪৩৩৬০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, বিশ্ব গাজায় হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“এটি এক ধরণের ভন্ডামি।”
শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।
এই প্রসঙ্গে তিনি ১৯৬৭ সালে গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করতে বলেন, যাতে বলা হয়েছিল যে পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে।
প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন।
তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মিশরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি।’ আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১৯৯৭ সালে ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নিঃশর্ত সমর্থন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব বলেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই উদ্দেশ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।’
‘ সেখানে খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং মানুষ অনাহারে রয়েছে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
আরব দেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। আরব বিশ্বের শক্তি ও সম্পদ আছে, শুধু ঐক্যই ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat