×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৩-৩০
  • ৪২৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় শিল্পমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

জাতীয় শিল্পমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩১ মার্চ ‘জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘শিল্প মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯’ আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ সৃজনশীল উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পখাত খুবই জরুরি। শিল্পোন্নত দেশগুলো গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদার করে ইতোমধ্যে আর্থসামাজিক অগ্রগতির কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশকেও রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের মাধ্যমে উন্নত অর্থনীতিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজস্ব কাঁচামাল ব্যবহার করে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে, নিজস্ব মেধা ও সৃজনশীল উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে আমদানি বিকল্প পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যে মূল্য সংযোজনের প্রয়াস জোরদার করে বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি দেশীয় কাঁচামালনির্ভর শিল্পকারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে শিল্পখাতে সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা জোরদার করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর শাহদাতবরণের পর বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন স্থবির হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে সরকার দেশে শিল্পায়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিল্পকারখানায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো হয়েছে।
আমি আশা করি, জাতীয় শিল্পমেলা বাংলাদেশের শিল্পায়ন অভিযাত্রাকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা আগামী দিনে নিজেদের পণ্য ও সেবা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার, প্রসার এবং বাজার সম্প্রসারণে উৎসাহিত হবেন। বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইতোমধ্যে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এ আয়োজন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে তা তুলে ধরতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি প্রথম ‘জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯’ এর সাফল্য কামনা করছি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

জাতীয় শিল্পমেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘শিল্প মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯ আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমৃদ্ধির স¦প্ন দেখেছেন। তিনি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং গ্রামীণ সহায়তা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালেই পূর্ব বাংলায় শিল্পায়নের বীজ বপন করেছিলেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমান বিসিক প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিকাশের সূচনা হয়।
বঙ্গবন্ধুর স¦প্নের পথ ধরে বাংলাদেশ এখন দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স¦ীকৃতি পেয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ধারা জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে শিল্পখাতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ১৭.৭৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩৩.৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে চলমান উদ্যোগের সঙ্গে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘সিআইপি (শিল্প) পুরস্কার’ ও ২০১২ সাল থেকে ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আসছে। বিশেষ করে, শ্রমঘন ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের বিকাশে নীতি সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। শিল্পখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি এবং পণ্য রপ্তানি সহজ করতে দেশে ব্যাপক ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বিদ্যুৎসহ জ¦ালানি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রথম জাতীয় শিল্পমেলায় এসব দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে বলে জেনে আমি খুশি হয়েছি। আমার বিশ্বাস, এ মেলা দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ, আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে। ফলে আগামী দিনে বাংলাদেশে গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের প্রয়াস বেগবান হবে।
আমি ১ম জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯ এর সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat