×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৪-২৭
  • ৪৫৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজেদের আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করতে হবে : মোস্তাফা জব্বার

নিউজ ডেস্ক:- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছিল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে, কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মিস করেনি ।
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রনারশিপ একাডেমি’ (আইডিয়া) প্রজেক্ট এবং তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার যৌথ উদ্যোগে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ : চ্যাপ্টার ওয়ান’ এর দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল ঘোষণাকারী দেশ। পৃথিবীর কোনো দেশ এর আগে নিজেদের ডিজিটাল ঘোষণা করেনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কৃষিনির্ভর দেশ থেকে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের ভিত রচনা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে আমরা সেই প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা ভোক্তার দেশ থেকে উৎপাদকের দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন মাদারবোর্ড, মোবাইল ফোন তৈরি করছে। মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ আশপাশের সব দেশের চেয়ে অর্থনৈতিক সূচকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। বাংলাদেশের সকল টিভি চ্যানেল শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আওতায় আনা হবে।
তরুণদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, বয়সের কোটা বাড়িয়ে চাকরি হবে না। বর্তমানে চাকরির যেসব ক্ষেত্র রয়েছে ভবিষ্যতে ৮০ ভাগ ক্ষেত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং পেশায় টিকে থাকতে হলে এবং উন্নতি করতে হলে ডিজিটাল দক্ষতা থাকতে হবে। এতদিন শক্তিটা কায়িক শ্রমের ওপর নির্ভর থাকলেও তা এখন মেধার ওপর নির্ভরশীল। মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী তোমাদের। কোনো কিছু শুরু করতে আইডিয়ার অভাব হয় না। শুধু প্রচলিত ধারণার সাথে নতুন কিছু যোগ করলেই হয়। তবে এসব আইডিয়া যেন জনগণের কল্যাণে হয় এবং এ থেকে যেন আয় হয়। অর্থাৎ আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক, ইয়াং বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ক্রিয়েটিভিটি এবং অন্ট্রাপ্রনারশিপ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সুপারনিউমারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ রশিদুল হাসান, সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশনের কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, দেশের আট বিভাগের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ : চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ৩টি দল বাছাই করা হবে। এই ১২০ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হবে সাভারে। সেখান থেকে দর্শক ভোট এবং বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার ৩০ স্টার্টআপ। আইডিয়া প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অন্য বিচারকদের সাহায্যে ১০ স্টার্টআপকে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই দলগুলো নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থ ও পরামর্শসহ যাবতীয় সহায়তা পাবে আইডিয়া প্রজেক্ট থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat