পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কুখ্যাত ডাকাত আব্দুল জলিল ওরফে রগকাটা জলিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী মিল বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জলিল কালাইয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। জলিলের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় ডাকাতিসহ ৬টি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়রি রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জলিল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। বৃহস্পতিবার সকালে পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিল বাড়ি সংলগ্ন সতীশ চন্দ্র মণ্ডলের বাড়ির রান্না ঘরের পাশে জলিলকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার ঘাড়, মাথা, হাত ও পিঠে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।১২ বছর আগে ইন্দুরকানী গ্রামের আ. মান্নান হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির পায়ের রগ কেটে দেয় জলিল। তারপর থেকেই এলাকায় রগকাটা জলিল নামে পরিচিতি পায় এই কুখ্যাত ডাকাত। জলিলের ভয়ে ভিত সন্ত্রস্ত থাকত তার গ্রামের মানুষ। জলিল খুন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে স্থানীয়রা জানান, জলিল এক সময় ঢাকায় রিকশা চালাতেন। এমনকি কুলি ও দিন মজুরের কাজ করতেন। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে আলিশান দালান ঘর নির্মাণ করেছেন। তার বাড়ির মুরগি থাকার ঘরটিতেও বসিয়েছেন বিদেশি টাইলস। আর এ সবই ডাকাতির অর্থে করা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।জলিলের প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে স্থানীয় সুবাস ও সুমন নামে দুইজন লোক এসে আমার স্বামী জলিলকে ডেকে নেয়। ঘরের বাইরে গিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে তিনি আমাকে ফোন করে বলে চারদিকে অনেক লোকজন। আমি বাড়ি আসতেছি, চিন্তা করো না। তারপর আর সে ফিরে আসেনি। রাতে জানতে পারি তিনি খুন হয়েছেন।’পিরোজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আহমেদ মাইনুল হোসাইন জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতের আধারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপরে তদন্ত চলছে।