বাহামা দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ হারিকেন ডোরিয়ানে ধ্বংস হওয়ার পর সেখানকার দুর্গতরা প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়ায় সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে লুটপাট বন্ধ না হওয়ায় তারা সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।বাহামার আবাকো দ্বীপে গত সপ্তাহে ডোরিয়ানের আঘাতে বহু জায়গা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আবাকোর বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকার এই দুর্যোগ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করছে না। সে সময় শক্তিশালী পাঁচমাত্রার হারিকেন আঘাত হানে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে বাহামার উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসও হয়। এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এ কারণে মৃতের সংখ্যা কয়েকশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, দুর্গত প্রায় ৭০ হাজার লোকের জরুরি খাদ্য ও আশ্রয় দরকার।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আবাকো দ্বীপের কয়েক হাজার দুর্গতকে রাজধানী নাসোতে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাঁবুতে বা কন্টেইনারে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই দ্বীপটির ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখানে ত্রাণ আসার গতি অত্যন্ত ধীর বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।