×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৭-০৬
  • ৮৮৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পণ্য ও সেবাখাত মিলিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সদ্যবিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে অর্জিত ৪৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের চেয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বা  ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে পণ্যখাতে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার ও সেবাখাতে ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। 
মঙ্গলবার অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে কোভিড অতিমারি এবং আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে  এবারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। এতে আমরা আশান্বিত এবার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলো, সেটা অর্জন করা সম্ভব হবে। 
টিপু মুনশি বলেন, কোভিড স্বত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে এই খাতে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রপ্তানি পণ্যের বহুমূখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। তিনি রপ্তানি আয়ের নতুন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসায়ীসহ রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিকট সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে না।
তিনি বলেন, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে যা অত্যন্ত ইতিবাচক। 
তিনি বলেন, পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পণ্য বহুমূখীকরণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে। 
প্রসঙ্গত বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। অর্জিত হয়েছে ৪৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য ছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার, অর্থ্যাৎ লক্ষ্যমাত্রার ৯৪ দশমিক ৫৬ ভাগ অর্জিত হয়েছে। সেবাখাতের ৭ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার বা ৯৫ ভাগ অর্জিত হয়েছে। 
চলতি অর্থবছরের জন্য নিটওয়্যার পোশাকখাতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার, ওভেন পোশাক শিল্পে ১৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন, হিমায়িত ও তাজা মাছ ৫০০ মিলিয়ন, কৃষি পণ্য ১১০৪ মিলিয়ন, পাট ও পাটজাত পণ্য ১৪৩০ মিলিয়ন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১০৩১ মিলিয়ন, হোম টেক্সটাইল ১৩৭০ মিলিয়ন এবং পাদুকা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, রপ্তানিমূখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি  মো. সাইফুল ইসলাম, টেনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat