×
ব্রেকিং নিউজ :
ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার কৃষকবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা আগামী দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে :রেলপথ মন্ত্রী আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২১-১১-২৮
  • ৩৪৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যার বিষয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে (বিআরওইউকে) এ কথা জানায়।
বিআরওইউকে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর বুয়েনস আয়ার্সের ফেডারেল ফৌজদারি আদালতের দ্বিতীয় চেম্বার নিশ্চিত করেছে যে, তারা সার্বজনীন এখতিয়ারের নীতির অধীনে মিয়ানমারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা শুরু করবে।
সেকেন্ড চেম্বারের উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কিছু অপরাধ এতটাই ভয়াবহ যে সেগুলোর বিচার যে কোনো জায়গায় করা যেতে পারে।
বিআরওইউকে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমে আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগের কাছে মিন অং হ্লাইং এবং বর্তমান জান্তার ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বসহ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলার জন্য আবেদন করেছিল।
বিআরওইউকে এর প্রেসিডেন্ট তুন খিন বলেন, এটি শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং সকল স্থানের নির্যাতিত মানুষের জন্য একটি আশার দিন। আর্জেন্টিনার এ সিদ্ধান্তে প্রমাণ হয়  যে, যারা গণহত্যা ঘটায় তাদের লুকানোর কোনো জায়গা  নেই।  বিশ্ব এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।"
এই মামলা নেওয়ার সাহস ও নৈতিক নেতৃত্ব দেখানোর জন্য আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও হত্যাকা-ের বিচার এখন হাতের নাগালে।”
তুন খিন বলেন, এই দায়বদ্ধতা কেবল রোহিঙ্গাদের জন্যই নয় বরং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস শাসনে ভুক্তভোগী সবার জন্য। চলতি বছরের ফেব্রয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে হাজার হাজার নিহত, আহত, নির্যাতিত বা নিখোঁজ সকলের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে  মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তার দোসররা এ অঞ্চলে একটি জঘন্য অভিযান পরিচালনা করে, সবচেয়ে খারাপ নৃশংসতা ঘটায় এবং প্রায় ৮০০,০০০ রোহিঙ্গাকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর বিআরওইউকে আর্জেন্টিনার আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের দায়ে মিয়ানমারের বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের ভূমিকার বিষয়ে তদন্ত শুরু করার জন্য আবেদন করে।
বিআরওইউকে আরো বলেছে, এই সার্বজনীন এক্তিয়ারের নীতির অধীনে কোথায় তা ঘটেছে তা নির্বিশেষে পৃথিবীর যে কোন স্থানে তদন্ত করা যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat