ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ডিএসসিসি এখন আর কোনও ভঙ্গুর সংস্থা নয়। ঢাকাবাসীকে সেবা দেয়ার মত একটি অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান, তা দেখাতে সক্ষম হয়েছি।
আজ নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে সার্বিক রাজস্ব আদায়ের পর্যালোচনা সভা ‘ষান্মাসিক রাজস্ব সম্মেলন’ এ মেয়র বলেন, ‘আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতায় গত অর্থবছরে আমরা ৭০৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছি। কর্পোরেশনের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়। যে গতিতে এগিয়ে চলেছি, এ বছর আমরা ৯০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারবো বলে আশাবাদী। একটি বিষয়ে আমরা ঢাকাবাসীকে নজর কাড়তে পেরেছি, ভরসা দিতে পেরেছি যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আর কোনও ভঙ্গুর সস্থা নয়। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঢাকাবাসীকে সেবা দেয়ার মত একটি অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান, তা ঢাকাবাসীকে দেখাতে সক্ষম হয়েছি।’
মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনার নির্দেশনা দিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আরও বেশি পরিদর্শন করতে হবে। দপ্তরে বাসায় লোকজন টাকা দিয়ে যাবে, এ ধরনের ধ্যান ধারণা একদম মুছে ফেলতে হবে। সপ্তাহে সুনির্দিষ্টভাবে কয়দিন মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবো, কয়দিন দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করবো, তা সমন্বয় করে সূচি করতে হবে। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে তাদের কাজের যেন ঢেউ পায়া যায়।’
এ সময় কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মস্পৃহা বাড়াতে নানা উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব বিভাগে আমরা নতুন জনবল নিয়োগ করেছি। এরই মাঝে আমরা জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি। আগামী মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করবো। তারপর বাছাই কমিটির সভা আয়োজনের মাধ্যমে যারা এখনো পদোন্নতি পাননি তাদের পদোন্নতি যেন সুষ্ঠুভাবে নিয়মিত সম্পন্ন করতে পারি।’
কর আদায়ে আরও বেশি দক্ষতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, কর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সকলেই অত্যন্ত দক্ষ। সুতরাং যে সকল ক্ষেত্রে সমস্যা দেখবেন তা তাদের সাথে আলাপ করে, সমন্বয় করে সমস্যাসমূহ সমাধান করবেন।
সম্মেলনে কর কর্মকর্তা, লাইসেন্স সুপারভাইজর, রেভিনিউ সুপারভাইজর, বাজার সুপারভাইজর, উপ-কর কর্মকর্তা, রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টসহ রাজস্ব বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান কর কর্মকর্তা আরিফুল হক ও উপ-প্রধান কর কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী উপস্থিত ছিলেন।