সিরাজগঞ্জের ঊল্লাপাড়া পৌর সভার অন্তর্গত নেওয়ারগাছা নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করার মুল রাস্তাটির পাশে বসবাসকারী হাজী রহম আলী তার বসতবাড়ির সিমানা প্রাচির নির্মান করায় ঐ পায়ে হাটা রাস্তাটি সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যালয়টি প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। বিদ্যালয়টি নির্মানের পুর্ব হতেই ঐ পায়ে হাটা রাস্তা দিয়ে শ্রীফলগাতী, চর শ্রীফলগাতী, নেওয়ারগাছা, মন্ডলপাড়া, নুন্দিগাতী, পাইকপাড়া গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
দীর্ঘ দিন পর হঠাৎ করে বিদ্যালয় সংলগ্ন বসবাসকারী হাজী রহম আলী তার বসতবাড়ির বিপরীতে পতিত জমি ক্রয় করে ঐ রাস্তার দাড় প্রান্তে পাকা সড়ক ঘেষে সীমানা প্রাচীর নির্মান করায় অত্র এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঐ বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রায় আধা কিলোমিটার পথ ঘুরে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রতœ শেখ হাসিনা বাংলার ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বালাতে প্রাণপোন চেষ্টা করে চলেছেন আর এদিকে হাজী রহম আলী দীর্ঘ দিনের পায়ে হাটা রাস্তা বন্ধ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীদের চলাচলের বাধাগ্রস্থ সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে নেওয়ারগাছা গ্রামের গ্রাম্য প্রধান মোঃ হোসেন আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার আগে হোতেই বিদ্যালয় সংলগ্ন ঐ রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করতো বা এখনো করছে। কিন্তু হাজী রহম আলী কি বুঝে ঐ রাস্তা বন্ধ করে দিলো তা আমরা এলাকাবাসী বুঝতে পারছি না। আমরা এলাকাবাসী হাজী রহম আলীকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু সে বুঝতে নারাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি যাহাতে বিদ্যালয়সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল ওহাব এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিগত ৪০ বছর ধরে বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকে পাকা সড়ক ঘেষে সীমানা প্রাচীর নির্মান করায় শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। এতে করে বিদ্যালয়ের উপস্থিতির হার কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ জাতীয় সংসদ সদস্য জননেতা ও শিক্ষাঅনুরাগি তানভীর ইমাম মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি। যাহাতে কোমলমতি শিশুদের যাতায়াতের কষ্ট লাঘব হয়।