×
ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৯
  • ৮৯২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- সংকটে পড়া ফারমার্স ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার তেমন উন্নতি হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত কমছে আমানত। টাকা জমা রেখে গ্রাহকদের পাশাপাশি বিপদে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকও। বারবার চিঠি দিয়েও জমা টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকেরা। এতে গ্রাহকদের মধ্যে একধরনের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। ফারমার্সে জমা রাখা টাকা তুলতে গ্রাহকেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হলেও কোনো সুরাহা দিতে পারছে না এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ফলে পুরো ব্যাংক খাতের গ্রাহকদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পুরো খাতে। গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে আর্থিক অবস্থার যে চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে ব্যাংকটি সহজেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে ব্যাংকটির সংকট কাটবে কবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। চলতি মাসে গ্রাহকের সিংহভাগ চেকের দাবি মেটানো হয়েছে। ব্যাংকটির মালিকানায় নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এতে গ্রাহকের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে, ঋণগ্রহীতারাও টাকা ফেরত দেবে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংকে যে পরিমাণ আমানত জমা পড়ে প্রতিদিন তার ৬ শতাংশ হারে নগদ টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়, যা সিআরআর নামে পরিচিত। গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা দিতে বিশ্বজুড়ে এটি একটি স্বীকৃত নিয়ম। ২১ মার্চের হিসাবে ফারমার্স ব্যাংকের আমানত দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা সিআরআর হিসেবে জমা রাখার কথা। তবে সেদিন জমা ছিল মাত্র ৩৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া সেদিনের হিসাবে সংবিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআর হিসাবে ৫৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জমা রাখার কথা ছিল, তবে ব্যাংকটি জমা রাখতে পেরেছে মাত্র ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ব্যাংকটিতে ৪৪৫ কোটি টাকা আমানত রেখেছে বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক। এ ছাড়া অন্য ব্যাংক থেকে ১৫৩ কোটি টাকা কলমানিতে ধার নিয়ে রেখেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৫৫ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৮৯ কোটি টাকা ও জনতা ব্যাংকের ৯ কোটি টাকা। মাসের পর মাস এসব টাকা রয়েছে ব্যাংকটিতে। এসব টাকা ফেরত পেতে একাধিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও চিঠি দিয়েছে। ফারমার্স ব্যাংকের ২১ মার্চের হিসাবে, ব্যাংকটির আমানত ৪ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা এবং ঋণ ৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে লোকসান হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা। ফারমার্স ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। ২১ মার্চ তা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা। এ সময় গুলশান করপোরেট, মতিঝিল, মিরপুর ও মাওয়া শাখার ঋণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এদিকে মতিঝিল, গুলশান ও বকশীগঞ্জ শাখার আমানত কমেছে ব্যাপকভাবে। অনিয়মের কারণে সংকটে পড়ে ব্যাংকটি গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় গত নভেম্বরে পদ ছাড়তে বাধ্য হন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। এরপর নতুন পরিচালনা পর্ষদ এলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখন ব্যাংকটিতে নতুন করে ৭১৫ কোটি টাকা মূলধন জোগানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat