বিনা প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক বাতি, পাখা ও এসিসহ অন্যান্য সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ পাইকারি কাঁচাবাজারটি গাবতলীতে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন গাবতলী পাইকারী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিদ্যুতের সংকট তীব্র হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে চলমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে যে নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের সবাইকে সেই নির্দেশনা মেনে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে।’
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সকলকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আমার কক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি কক্ষেই কর্মকর্তারা রুমে প্রবেশের পূর্বে সকল বাতি, পাখা, এসি বন্ধ রাখবে। কক্ষে প্রবেশের পরে প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো চালু করবে। তবে এসির তাপমাত্রা কোনভাবেই ২৫ এর নিচে রাখা যাবে না।’
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে খরচ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। দয়া করে কেউ অফিস ও বাসা বাড়িতে বিদ্যুতের অপচয় করবেন না।’
কারওয়ান বাজারের পাইকারি কাঁচাবাজারটি ঢাকার প্রান্তে স্থানান্তরের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পাইকারী কাঁচাবাজার গুলোকে শহরের প্রান্তে নিয়ে যেতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি বাজারে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলো শহরে প্রবেশ না করলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে এবং পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যও হ্রাস পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারওয়ান বাজারস্থ পাইকারি কাঁচাবাজার গাবতলীতে স্থানান্তরের লক্ষ্যে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি। পাইকারী ব্যবসায়ীদের সাথেও আমরা আলোচনা করবো।’
মেয়র আতিক বলেন, ব্যবসায়ীরা যেন কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং ঢাকাকেও যেন আধুনিক ও পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তোলা যায়, সেটি বিবেচনা করেই পরিকল্পনা করা হবে। আমরা সকল অংশীজনদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কি কি চ্যালেঞ্জ আছে- সেগুলো খতিয়ে দেখে তারপরেই সিদ্ধান্ত নিব।’
পরিদর্শনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।