×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০১-১২
  • ৭১০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ হাবিবুর রহমান,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- প্রায় ৫শ বছরের পুরানো ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গুজিশহর পৌষ সংক্রান্তী প্রেম গোসাই,, মেলা। বাংলার প্রতিবছরে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে পৌষের ৩০ তারিখে মেলা শুরু হয়ে চলে মাসব্যাপী। এই মেলা গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য উপজেলার সংস্কৃতির ইতিহাস বহন করে আসছে।
মেলাটির উৎপত্তি কবে নাগাদ তা নিয়ে নানা ব্যক্তির নানা মত থাকলেও বংশ পরম্পরায় ও লোকমুখে শুনে আসা সন্ন্যাসীদের আগমন ও তাদের কর্মকাণ্ড থেকেই এ মেলার উৎপত্তি। যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
স্হানীয় প্রবীন ব্যক্তিদের কাছে থেকে জানা গেছে, এ মেলা ঘিরে পুরো উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ আসে মেলা দেখতে। কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, শীতের পোশাক, মেয়েদের কসমেটিকস সামগ্রী, জুতা-সেন্ডেলের দোকানসহ বাচ্চাদের আনন্দের বিভিন্ন পণ্য থাকে এ মেলায়। চিত্তবিনোদনের জন্য এ মেলায় রয়েছে “গ্রামীণ যাত্রাপালা ” ও সার্কাস। মেলা দেখে মেলায় তৈরি বিক্ষাত ৩/৪ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির মিষ্টিসহ বাহারি রকমের মিষ্টি ও বিখ্যাত লুচি-বুন্দিয়া সঙ্গে নিয়ে যায় মেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা।
গুজিশহর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম (৭০) বলেন, এ মেলা জন্মের পর থেকে দেখে আসছি। বংশপরম্পরায় এ মেলা চলে আসছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীরা আসে। মেলা চলাকালীন আমাদের এলাকায় আত্মীয় স্বজন আসার হিড়িক পড়ে যায়। প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম মেলা থেকে কেনা হয়।
মেলায় মিষ্টার দোকান নিয়ে আসা দোকানদার বলেন, ৩০ বছর থেকে এ মেলায় ব্যবসা করে আসছি। খুব ভালো আয়োজন এ মেলার। বেচাকেনা ভালো হয় বলে কোন বছর এ মেলা করতে ছাড়িনি।
মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, করোনার ভয়াল গ্রাসে পরপর দুবছর এ মেলা হয়নি। এ বছর আবার বসছে এ মেলা। এ মেলার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনেক পুরানো। এ মেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে গুজিশহর মসজিদ, মন্দির, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুলের উন্নয়নপূলক কাজ করা হয়। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। মেলা কমিটির সকল সদস্যরা এ মেলাকে প্রাণবন্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat