×
ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার প্রচেষ্টা আছে সরকারের : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন জাতির পিতার সমাধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন তাপপ্রবাহে টুঙ্গিপাড়ায় প্রশান্তির নীড় ‘কৃষক সেড’ দিনাজপুরে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা এসটিপি ছাড়া নতুন বিল্ডিং করার অনুমোদন নয় : গণপূর্ত মন্ত্রী ঢাকা-ব্যাংকক রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেরেবাংলার অসীম মমত্ববোধ, কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে : শেখ হাসিনা
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-১২
  • ৭৭৩৫৩ বার পঠিত
  • আলমাহমুদ-ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট-সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সলপ স্টেশন সংলগ্ন ভদ্রকোল গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে অতিষ্ট হয়ে পরেছে এলাকার কমপক্ষে ৫০টি পরিবার। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভদ্রকোল গ্রামের মৃতঃ শাখাওয়াত হোসেন ৩ সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তান এইচ.এম সাঈদ ওরফে জুলুম। শাখাওয়াত হোসেনের গ্রামে বাড়িসহ ৪০বিঘা সম্পত্তি এবং রাজশাহীর শিরোইলে ৪ কাঠা জমির উপর একটি বাড়ী ছিলো। সাঈদ বাবাকে চিকিৎসার নাম করে রাজশাহীতে নিয়ে জোড়পূর্বক রাজশাহীর বাড়ীটি বিক্রয় দলিল করে নেয়। এতে বাবা তার উপর ক্ষুব্দ হয়ে মেঝ ছেলে এইচ.এম শহীদের একমাত্র মেয়ে শাইয়ান ফারিয়া খুশি ও স্ত্রী নাজমা খাতুনের নামে প্রায় ১১বিঘা জমি বিক্রয় দলিল করে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে খুশি এবং নাজমার উপর বিভিন্নভাবে মানষিক অত্যাচার শুরু করলে তারা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ২০০৯ সালে আমেরিকায় চলে যায়। একপর্যায়ে সাঈদ তার বাবার সম্পত্তির বাটোয়ারা চেয়ে এইচ.এম শহীদ, সোহেলী আফরোজ ও শামীনা ফেরদৌসকে প্রতিপক্ষ করে মামলা দায়ের করেন। যাহার নম্বর ৭৪/২০০৭ বর্তমানে ৩০৬/২০২১ যা এখনও চলমান। ২০২১ সালে আমেরিকা প্রবাসী খুশি ও নাজমা খাতুন ১০৪ শতক ভূমি ৩১জনের নিকট বিক্রয় করে তাদের দখল বুঝে দেন। এতে সাঈদ ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্রেতা খুশি ও নাজমা খাতুন সহ ৩১জন ক্রেতা ও উল্লাপাড়ার সাব-রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে জাল দলিলের মামলা করে। ক্রেতারা খারিজের জন্য আবেদন করলে সাঈদ উক্ত মামলায় উল্লাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেও আসামী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। ক্রেতাগন সহ আরও ৫ জনের নামে বিভিন্ন সময় প্রায় ১২ টি মিথ্যা ফৌজদারী মামলা করেন। যা এখনও চলমান রয়েছে। এদিকে বাটোয়ারা মাললা চলমান অবস্থায় বাদী এইচ.এম সাঈদ নিজেই ২২৫ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। ফজলুর রহমান ও তার ভাইয়ের নিকট ৫ শতাংশ জমি বাবদ ৬ লক্ষ টাকা এবং জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার স্ত্রীর নিকট ৩.৫ শতাংশ জমি বাবদ ৭ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে দলিলে স্বাক্ষর ও টিপসহি দিয়ে দলিল সাব রেজিষ্টারের নিকট দাখিল করার পূর্বেই অফিস ত্যাগ করেন এবং পরবর্তীতে সে টাকা ফেরৎ দেয়নি। টাকা নিয়ে দলিল না করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেতা ফজলুল হক ও জাহাঙ্গীর হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করেন।  কিছুদিন পূর্বে তার বড় ভাইয়ের দুই মেয়ে সোহেলী আফরোজ ও শামীনা ফেরদৌস তাদের অংশের প্রায় ৩২ শতক ভূমি ৫ জনের নিকট বিক্রয় করেন। ক্রেতাদের মধ্যে জিল্লুর রহমান নামের একজন বাড়ি করলে তাকে বাড়ী সরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে সাঈদ। সেই সাথে ঘর-বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, মামলা-হামলার হুমকি দিতে থাকে। বাড়ী-ঘর রক্ষায় জিল্লুর রহমান ১৪৪ ধারা চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত তা জারি করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকট প্রতিবেদন চান। এ অবস্থায় এইচ.এম সাঈদ ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে ভাড়াটিয় সন্ত্রাসিদের সহযোগীতায় শেষ রাতে জিল্লুর রহমানের বাড়ী ভাংচুর করে এবং বাড়িতে থাকা মহিলদের মারধর করে। এখনও তিনি জিল্লুর রহমানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। শুধু তাই  নয় তিনি দুই ভাতিজি সোহেলী আফরোজ ও শামীমা ফেরদৌস, ভাতিজি জামাই রফিকুল ইসলাম, ক্রেতা জিল্লুর রহমানসহ রফিকুল ইসলামকে আসামী করে মিথ্যা মামলা করেন। এ বিষয়ে ক্রেতা জিল্লুর রহমান জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকা অবস্থায় এস.এম সাঈদ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। সেই সাথে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমার নামে মিথ্যা মামলা করেছে। এ বিষয়ে আমেরিকা প্রবাসী তার ভাতিজী শাইয়ান ফারিয়া খুশির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, দেশে গেলে হামলা-মামলা দিবে, আমাদের জেলে দেবে বলে চাচা সব সময় হুমকি দিচ্ছে। ইতোপূর্বে ই-মেইলে উল্লাপাড়া মডেল থানায় জিডি করেও কোন সুরাহা পাইনি। দেশে যেতে এখন ভয় লাগে। ভাই শাহাদত হোসেনের বড় মেয়ে সোহেলী আফরোজ শিল্পী বলেন, আমার ছোট চাচা এলাকায় এবং আতিœয়-স্বজনের মধ্যে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে, তাতে তার পরিচয় দিতেই এখন ঘৃনা লাগে। সলপ স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ী শামিম বলেন, ভয়-ভীতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যের সম্পত্তি ভোগদখল করে খাওয়াই এইচ.এম সাঈদের কাজ। তিনি এলাকায় একজন আতঙ্ক নামে পরিচিত। এ বিষয়ে এইচ.এম সাঈদের সঙ্গে মুঠোফনে বারংবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat