নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন মিশর ও জর্ডান সফর করবেন। বুধবার তার মুখপাত্র বলেছেন, পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে তিনি এ সফর করবেন।
মুখপাত্র এরিক মামার বলেছেন, ইইউ প্রধান শনিবার ইইউ মানবিক সহায়তার বহর আগমনের জন্য ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী সিনাই ভ্রমণের আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাথে দেখা করবেন। খবর এএফপি’র।
তিনি এক্স (পূর্বে টুইটার) -এ লিখেছেন, তারপর তিনি জর্ডানে রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে দেখা করবেন।
ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের মতে, হামাস ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা ও ২৪০ জনকে জিম্মি করার এক সপ্তাহ পর ভন ডার লেইন ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল সফর করেছিলেন। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক।
হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, পরবর্তীতে গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং স্থল আক্রমণে ১১,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
নভেম্বরের শুরুতে ইইউ কূটনীতিকদের কাছে এক বক্তৃতায়, ভন ডের লেইন বলেন, ২৭-সদস্যের ব্লক ফিলিস্তিনি অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দাতা এবং গাজার জন্য তার মানবিক সহায়তা ২৫ মিলিয়ন ইউরো (২৭ মিলিয়ন ডলার) বাড়িয়ে দেবে।
ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক ভন ডার লেইন বলেন, গাজায় তাদের অভিযানে দেশটি বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে সচেষ্ট হওয়া অপরিহার্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।
ভন ডার লেইন কূটনীতিকদের বলেন, যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেলে একটি পূর্বশর্ত হল ‘গাজা সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে না’ এবং হামাস আর এই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকবে না।
তিনি যোগ করেছেন এমনকি সংঘাতের ক্ষোভের মধ্যেও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য একটি ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ থাকা দরকার।
ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেলও বৃহস্পতিবার থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক ও রাজনৈতিক আলোচনার জন্য ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার ও জর্ডানে থাকবেন।
