×
ব্রেকিং নিউজ :
ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অংশ : প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক ঝালকাঠিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৫ জন নারীকে ল্যাপটপ প্রদান গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঙ্গালির আত্মপরিচয় বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক : স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী এমপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় : ভূমিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১২-০৯
  • ৫৭১০৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস। ময়মনসিংহবাসী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ঐতিহাসিক ময়মনসিংহ মুক্ত দিবসটি উদযাপনের অপেক্ষায় রয়েছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে প্রয়াত ধর্মমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনী ব্রহ্মপুত্র নদের শম্ভুগঞ্জ ফেরিঘাট পার হয়ে ময়মনসিংহ শহরের দিকে যাত্রা করে। জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে সার্কিট হাউস মাঠে পৌঁছে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহকে মুক্ত করে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধা  জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী সার্কিট হাউসের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় শত শত উল্লাসিত মানুষ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানায়। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে টাঙ্গাইল জেলা দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকায় পালিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পাকিস্তানি বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অঞ্চলে এটিই প্রথম ভয়াবহ যুদ্ধছিল বলে মুক্তিযোদ্ধারা জানায়। ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যরা ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করে। জেলার হালুয়াঘাট থানার চেয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের শক্ত দখল গড়ে তোলে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হালুয়াঘাট দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেন এবং ৮ ডিসেম্বর ফুলপুর ও ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া, গৌরীপুর উপজেলা এবং ১০ ডিসেম্বর মুক্তাগাছা উপজেলাকে মুক্ত করেন। প্রতিবছর জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ময়মনসিংহে ঐতিহাসিক ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদযাপন করে আসছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় বিজয় র‌্যালি, এটি ছোটবাজার মুক্তমঞ্চ থেকে বের হবে। এর আগে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলণ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মুক্ত দিবস পালিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat