×
ব্রেকিং নিউজ :
ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অংশ : প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক ঝালকাঠিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৫ জন নারীকে ল্যাপটপ প্রদান গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঙ্গালির আত্মপরিচয় বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক : স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী এমপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় : ভূমিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১২-১২
  • ৫৬৬৫৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
এ বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে আয়োজিত নারী ফুটবল বিশ্বকাপে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন খেলোয়াড় অনলাইনে নাজেহালের শিকার হয়েছে বলে ফিফা ও ফিফপ্রোর এক সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
৫.১ মিলিয়ন পোস্ট ও এর সাথে সম্পৃক্ত কমেন্টসের ভিত্তিতে দেখা গেছে এবারের আসরে অংশ নেয়া ৬৯৭ জন খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে কেউ না কেউ এই শিকারে পরিনত হয়েছেন। 
এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফা জানিয়েছে ১৫২ জন খেলোয়াড় বৈষম্যমূলক, অপমানজনক ও ও হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বার্তা ছিল হোমোফোবিক কিংবা যৌন হয়রানীমূলক প্রকৃতির। 
সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে গত বছর কাতারে অনুষ্ঠিত পুরুষ বিশ্বকাপের তুলনায় নারী বিশ্বকাপে ২৯ শতাংশ বেশী এই ধরনের হয়রানীমূলক বার্তা পেয়েছে খেলোয়ড়রা। 
ফিফার সোশ্যাল মিডিয়া প্রটেকশন সার্ভিস (এসএমপিএস) থেকে এই তথ্যগুলো পাওয়া গেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার ব্যহকার করে এই সমস্ত হয়রানীমূলক পোস্টের তথ্য বের করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের কাছে বিশেষ একটি অপশন ছিল যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বার্তা মুছে দেবার ক্ষমতা রাখতো। এই পদ্ধতির আওতায় প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২০টি হয়রানীমূলক বার্তা হিডেন করে রাখা হয়েছিল। 
এসএমপিএস ডাটা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নারী দলটি বিশ্বকাপ চলাকালীন সবচেয়ে বেশী এই নাজেহালের শিকার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের দলটি এই ধরনের হয়রানীর শিকার হয়ে আসছে। ফিফা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনার একজন করে খেলোয়াড়কে সবচেয়ে বেশী টার্গেট করা হয়েছে, তাদের নাম অবশ্য ফিফা প্রকাশ করেনি। 
রিপোর্টে কলম্বিয়ান খেলোয়াড় লেইসি সান্তোসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে এই ধরনের বার্তা একজন খেলোয়াড়ের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সান্তোস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘একটি ম্যাচে পরাজয়ের পর একজন খেলোয়াড় ফুটবলে যদি কোন বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশী মানসিক যন্ত্রনা পেয়ে থাকে সেটা হলো এই ধরনের বাজে ও অপমানজনক কমেন্টস বা মন্তব্য। পেশাদার ফুটবলারের বাইরে আমরা সবাই মানুষ। কিছু কিছু খেলোয়াড় এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও অনেকেই তা পারেনা। এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, যে কারনে মানসিক ভাবে অনেকেই ভেঙ্গে পড়ে।’
ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে এই ধরনের নাজেহালের কোন ক্ষমা নেই। এক বিবৃতিতে ইনফান্তিনো বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা অন্যকোন ভাবে যেকোন খেলোয়াড়কে অপমান করার কোন অধিকার কারো নেই। এটা ফিফা টুর্নামেন্ট বা অন্য যেকোন টুর্ণামেন্টেই হোক না কেন।’
গত বছর প্রথমবারের মত এসএমপিএস পদ্ধতি চালু হবার পর থেকে খেলোয়াড়, দল, কর্মকর্তা মিলিয়ে চার লাখেরও বেশী এই ধরনের কমেন্টেসের শিকার হয়েছে। ইনফান্তিনো বলেছেন বৈষম্যের কোন স্থান ফুটবল বা সমাজে কোথাও নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat