×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২০
  • ৪৩৪৫৬৪৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় বুড়ি তিস্তা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা গ্রামে নদীর মূল বাঁধে ওই ভাঙনের সৃষ্টি হয়।
বাঁধের অন্তত ২০০ মিটার অংশ বিধ্বস্ত হয়ে পানি ঢুকে পড়েছে সুন্দরখাতা, রূপাহারা, মধ্যসুন্দরখাতা, সিংপাড়া, মাঝিয়ালীপাড়া, মাঝিয়ালীর ডাঙ্গাসহ ১০টি গ্রামে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে ৩০০ একর আবাদী জমি।
স্থানীয়রা জানায়, ওই বাঁধটি অনেক পুরোনো হওয়ায় দূর্বল হয়ে পড়েছিল। অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলে বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরখাতা গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভাঙ্গনের আকার বেড়ে বিকাল নাগাদ ২০০ মিটারে পৌঁছে। ওই ভাঙ্গন দিয়ে হুহু করে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে জমির আমন বীজতলা, মরিচ ও পাটসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
সুন্দরখাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ (৭৫) জানান, গ্রামের বুড়ি তিস্তা নদীর মূল বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল ষাটের দশকে। এরপর থেকে আর সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থান দূর্বল হয়ে পড়ে। একারণে এলাকাবাসী দির্ঘদিন ধরে বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল।
একই গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান (৪৫) বলেন,‘শুধু বাঁধ ভেঙ্গেই নয়, নদীতে ঢলের পানির তোড়ে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচেও এসব গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবেনা। আবাদ করতে না পারলে অনেক কৃষক নিঃস্ব হয়ে পড়বে’।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী জানান, বুড়ি তিস্তার নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মাঠে থাকা আমন ধানের বীজতলা, পাট ও মরিচসহ অন্যান্য ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমান নিরুপনে কাজ চলছে’।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিনা সে বিষয়ে কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ভাঙ্গা অংশসহ বাঁধ উপচে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। এতে ৩০০ একর আবাদী জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিষটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে’।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat