×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১০-১২
  • ২৩৪৩২৪৭৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিভক্ত না হয়ে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি  শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরে ‘গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও বিপ্লবের লাল কবিতা পাঠ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বন জানান।

অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া অনেকে এখনো অবহেলিত উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনে আমলাদের অনেক রদবদল হলেও সেভাবে সুফল মিলছে না। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা পূরণ না হলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণ অবস্থান নিবে। এ কথাটি যেন আমরা ভুলে না যাই।’

সংবিধান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নতুন সংবিধানের কথা বলছি, সংবিধানতো বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে। দেশের মানুষ কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায়, তা গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়ালে-দেয়ালে তুলে ধরেছে তরুণরা।’ 

নাহিদ ইসলাম বলেন,যে ছাত্র জনতা এই অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে তাদের সংগঠিত হতে হবে। কারণ এই আন্দোলনের প্রকৃত আকাঙ্খা তারাই ধারণ করে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি হতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববাসী অভ্যুত্থানকে বুঝতে চাচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি অভিনব অভ্যুত্থান হয়েছে ,যাকে বিপ্লবের মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। বর্তমান জেন- জি প্রজন্মকে সবাই ভোগবাদী, স্বার্থবাদী হিসেবে ভেবেছে কিন্তু তারাই নিজের জীবন উৎসর্গ করে এই বিপ্লব সংঘটিত করেছে, যা পৃথিবীতে প্রথম। এর ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বিপ্লব ছড়িয়ে পড়েছে। 

তিনি  বলেন, ‘দেশের মানুষ দেখতে চায়, আমরা এখন কি কাজ করি। আমরা দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা শুধু ভাঙতে পারি না আমরা গড়তেও পারি, যা সময়ের সাথে সাথে প্রমাণ করবো।’ 

গ্রাফিতির  প্রয়োজন কেন হলো ? এ প্রশ্ন উত্থাপন করে তার জবাবে নাহিদ ইসলাম নিজেই বলেন,‘ কারফিউ এবং অন্যান্য কারণে যখন মানুষ রাস্তায় নামতে পারছিল না, সেই সময়টাতেই গ্রাফিতির মাধ্যমে মানুষ তাদের কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে দেয়ালে দেয়ালে। বাংলাদেশের প্রতিটি দেয়াল এই অভ্যুত্থানের সাক্ষী। এই কথাগুলো আমরা সংরক্ষিত রাখবো এবং এর মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশের মর্মকথা বেরিয়ে আসবে।’

শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রজন্ম শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে  ২৫ হাজারের বেশি গ্রাফিতি এই স্থান পেয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat