×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-২৫
  • ৪৩৫৩৫৭৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য আহরণ বন্ধে দ্রুত কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন।

তিনি আজ রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে  ‘বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন সময় পুন:নির্ধারণ’ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন।
ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের বড় সমস্যা হলো মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকার সময়ে ভারতীয় জেলেরা অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরছে। অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য আমাদের ভারত সরকাকে আগেই এ বিষয়ে জানাতে হবে।

তিনি মৎস্য আহরণ বন্ধে সময় নির্ধারণে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন।
উপদেষ্টা প্রজননের সঠিক সময় বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আরো গবেষণা করে গবেষণার ফলাফল জনগণকে জানানোর পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। 

উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, আল্লাহর দান। ইলিশ ডিম ছাড়ার পর বড় হওয়ার জন্য সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। মৎস্যজীবীরা আমাদের আমিষের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে জেলেদের সুবিধা অন্যদিকে মাছ রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। 

তিনি বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়লেও এমনকি পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম কমছেনা। এক্ষেত্রে ইলিশ আহরণ, সরবারহ, বিপনণ, সংরক্ষণ প্রভৃতি জড়িত। আমরা জনগণকে খাওয়াতে পারছি কিনা সেখানে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধে যতই পদক্ষেপ গ্রহণ করি না কেন, যদি আমরা মাছ ধরার জাল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি সেক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপেই কাজ হবে না। জাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। মুন্সিগঞ্জে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে অভিযান ও জরিমানা আদায় অব্যাহত রয়েছে।

ফরিদা আখতার বলেন,  শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো তারা যেন জাল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কারখানাগুলোকে কোন লাইসেন্স না দেয়। সমুদ্রে ট্রলার দিয়ে যারা মাছ ধরেন তাদের আরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

তাদের সমুদ্র সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে মাছ শিকারের আহ্বান জানান তিনি। 

মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র।

এছাড়াও কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীগণ ও  বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat