×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-১৪
  • ৪৩৫৪৫৭৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
যুদ্ধ ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার ফলে আগামী দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ৬৭ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানবিক সংস্থা ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল (ডিআরসি) শুক্রবার এ কথা জানায়।

ডিআরসির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কোপেনহেগেন থেকে এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রত্যাহারের ‘বিধ্বংসী’ পদক্ষেপের ফলে লাখ লাখ দুর্বল মানুষ প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।

ডিআরসি মহাসচিব শার্লট স্লেন্তে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও দায়মুক্তির যুগে বাস করছি। বেসামরিক নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি মূল্য দিচ্ছে।’

ডিআরসি জানায়, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ১২২.৬ মিলিয়ন। সংস্থাটি তাদের বৈশ্বিক স্থানচ্যুতির পূর্বাভাসে ২০২৫ সালে ৪২ লাখ মানুষের বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা জানায়, যা ২০২১ সালের পর থেকে ডিআরসি’র সর্বোচ্চ পূর্বাভাস।

২০২৬ সালে আরো ২৫ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়।

সমস্ত আশঙ্কাজনক এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী সুদান ও মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ।

সুদানে ‘বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি মানবিক সংকট’ চলমান রয়েছে।  দেশটি নতুন বাস্তুচ্যুতির প্রায় এক তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী, এটি উল্লেখ করেছে ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে ইতোমধ্যেই সুদান ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে ‘অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেশকে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ থেকে অন্য দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়েছে।’

ডিআরসি জানায়, মিয়ানমারে বহুমুখী গৃহযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং প্রায় ২ কোটি মানুষের অর্থাৎ জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের এখন মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।

এটি পূর্বাভাসে দেখিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ দেশটিতে আরো ১৪ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আফগানিস্তান, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ভেনিজুয়েলায়ও সশস্ত্র সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিআরসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ৬৭ লক্ষ লোকের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat