×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-০৭
  • ১২২৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার একটি বাসা থেকে রবিবার রাতে কলেজের এক শিক্ষিকা ও ব্যাংকের এক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। নিহত দুজনই পাশাপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। নিহত ওই কলেজ শিক্ষিকার নাম সাজিয়া বেগম (৩৬)। তিনি সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি দুই ছেলে নিয়ে এই বাসার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বাড়ি রাজধানীর সুত্রাপুর থানার বানিয়া নগর। আর ব্যাংক কর্মকর্তার নাম ফারুক হাসান (৩৮)। তার বাড়িও রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায়। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত ১১টার দিকে বাড়ির মালিক নুর ইসলাম পুলিশকে খবর দিলে দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার বাড়িটি থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করি। ওসি জানান, শিক্ষিকার মরদেহ দরজার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এবং ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি। বাড়ির মালিকের ছেলে ডেভিড হাসান বলেন,  রবিবার রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে নিচ তলার ওই ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পাই। দরজার ফাঁকা দিয়ে দেখতে পাই ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ ঝুলছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ডেবিড আরও জানান, নিহত কলেজ শিক্ষিকা এক বছর আগে এই বাসা ভাড়া নেন। আর ব্যাংক কর্মকর্তা এক মাস আগে ভাড়া নেন। এক মাস আগে বাসা ভাড়া নিলেও তিনি থাকতেন না। দুই দিন আগে তিনি বাসায় এসে উঠেছেন। সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুলতান মাহামুদ বলেন, ম্যাডাম বিবার কলেজে গিয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি কলেজ থেকে বাড়ির জন্য বের হয়ে যান। এরপর রাতে জানতে পারলাম ম্যাডামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিহত কলেজ শিক্ষিকার স্বামী শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, চারটার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয়। তখন তিনি জানায় বাসায় আসছেন। এরপর রাত হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় খোঁজা-খুঁজি শুরু করি, তার কলিগদের জানাই। কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করি। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, তারা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তবে কী কারণে তারা এক হলেন বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তদন্ত করে দ্রুত এই ঘটনার কারণ বের করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat