×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৫-২৯
  • ৬২৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে মাইকিং চলছে
 নিজস্ব প্রতিনিধি:- মহাসেন, রোয়ানুর মতো এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এই ঘূর্ণিঝড়টি দৃশ্যমান হওয়ার পরই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ‘মোরা’ ধেয়ে আসায় উপকূলে ৭নং বিপদ সংকেত চলছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভায় বসেছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। সকাল ১১টায় শুরু হয়ে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এই প্রস্তুতি সভা চলছিল। সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার কয়েকটি উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র মতে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’আরো উত্তর দিকে সরে বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মানে হল, সাগরে মাঝারি শক্তির একটি ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের মাত্রা ৭ নম্বরের সমান, তবে দিক ভিন্ন। অর্থাৎ, সরাসরি পায়রা ও মোংলার দিকে না এসে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে এই দুই বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর রবিবার মধ্যরাতে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী তখন এর নাম দেওয়া হয়ে ‘মোরা’ । ‘মোরা’ থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার পরপরই সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়। পরে ভোর ৬টায় সংকেত বাড়িয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত এবং ৯টায় বিপদ সংকেত জারি করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং পরদিন তা ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’য় রূপ নেয়। পরে সেটি দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে। আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে-ধীরে আরো শক্তিশালী হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্র বন্দরের জন্য সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও করণীয় নির্ধারণে বেলা সাড়ে ১১টায় জরুরি সভায় বসেছে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও (চসিক) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলাসহ উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোর লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়রের একান্ত সচিব মো. মনজুরুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat