×
ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার টাঙ্গাইলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলো জমজ দুইবোন বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-১৫
  • ৪৯৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
৫০ কেন্দ্রে এগিয়ে নৌকা
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের ফলাফল আসা শুরু হয়েছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫০ কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে। এসব কেন্দ্রে অর্ধেকের বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।
৫০ কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ২৮ হাজার ৩৮৮ ভোট। আর ধানের শীষ নিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৩০ ভোট। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল জানানো হয়নি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং এজেন্টদের সূত্রে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এসব ফলাফলই প্রচার করছে টেলিভিশন, অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বিঘ্নে ভোট উৎসব শেষ করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশ ছিল ইসির। তবুও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে চারটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন অংশ নিলেও মূলত নৌকা, আর ধানের শীষের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এই ভোটকে কেন্দ্র করে সারাদেশেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় এই নির্বাচন আলাদা গুরুত্ব বহন করছে। নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলনের মুজ্জাম্মিল হক হাত পাখা, সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে ভিড় করতে থাকে ভোটাররা। প্রতিটি লাইনে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি। পুরুষদের পাশাপাশি নারী ভোটাররাও সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। এছাড়া নতুন ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোট শুরুর পরই সকালে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বলেন, খুলনাবাসী উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবে। ভোটাররা যেন তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের ব্রিফিং দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু ভোট দেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ সময় তিনি ৩০টি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন। বলেন, সরকারদলীয় সমর্থকদের কারণে প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটাররা শঙ্কায় রয়েছে।ভোট ডাকাতি হলে ফলাফল মেনে নেবেন না বলেও জানান তিনি। খুলনা সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন আর নারী ভোটার দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। মোট ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রের ১০টি ভোটকক্ষে ভোট নেয়া হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জনসহ মোট ১৯১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩ মে থেকে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়। তারা থাকবে ১৬ মে পর্যন্ত। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ নিয়মিত বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় কাজ করবেন। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে পুলিশের মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে র‌্যাবের একটি করে দল টহল দিচ্ছে। মোতায়েন আছে ১৬ প্লাটুন বিজিবি। ৬০ জন নির্বাহী এবং ১০ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী এলাকার সাথে যোগাযোগ এবং নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ২০১৩ সালে খুলনায় শেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেককে ৬০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন বিএনপির মনিরুজ্জামান মনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat