নিজস্ব প্রতিনিধি:- রাজশাহীতে চিকিৎসা নিতে আসা এক তরুণী হাসপাতালের তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এক ব্রাদার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, শফিকুল ইসলাম নগরীর বহরমপুর এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বুধবার দুপুরে তিনি শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দাম্পত্য কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। শফিকুল রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে চর্মরোগে আক্রান্ত ঝিনাইদহের সাথী খাতুনকে(১৬) রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার মডেল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এনেছিলেন তার মা ও ভাই। দুপুরে তারা হাসপাতালের তিনতলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সেখান থেকে লাফ দেন সাথী। গুরুতর আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাথীর বাবার নাম আবুল বাশার।
ওসি জানান, রোগ সহ্য করতে না পেরে এর আগেও সাথী বাড়িতে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। হাসপাতালে সাথী ও শফিকুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।